মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে জয় পায় টাইগাররা। আফিফ ও মোসাদ্দেকের অসাধারণ ব্যাটে এ জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে ত্রিদেশীয় সিরিজে সূচনাটা জয় দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের।
২৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন হারের শঙ্কায় ধুঁকছে তখনই ক্রিজে আসেন আফিফ। ক্রিজে এসেই বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন আফিফ। সব শঙ্কাকে দূরে ঠেলে দিয়ে জয়ের নায়ক হিসেবেই আবির্ভূত হন আফিফ।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ডাক মারলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই নিজের জাত চেনালেন তরুণ আফিফ। মাত্র ২৪ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করে দ্রুততম ফিফটির মালিক বনে যান ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ। যদিও দুই বল পর আউট হয়ে যান তিনি। যখন জয় থেকে মাত্র ৫ রান দূরে বাংলাদেশ।
সাজঘরে ফেরার আগে আটটি চার ও এক ছয়ে ম্যাচ সেরা ৫২ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন।
আফিফ হোসেনের এমন পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ফোন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রশংসা করেছেন আফিফের। ফোনে সাকিব-আফিফের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
খেলা শেষে মাঠেই বিসিবি সভাপতি জানান, প্রধানমন্ত্রী খেলার মাঝেই বার বার তাকে ফোন করছিলেন। তিনি বেশ চিন্তিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, ‘পাপন এইটা কী হচ্ছে? এ রকম হচ্ছে কেন?’ এসময় তিনি বেশ চিন্তিত ছিলেন।
তারপর যখন আফিফ নামলো, তখন তার খেলা দেখে বললেন, ‘ও আগে নামেনি কেন? একে তো আগে দেখিনি।’
বিসিবি সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, ‘আপা ও তুলনামূলকভাবে একদম নতুন এসেছে। মাত্র ১৯ বছর বয়স। ওর আসলে পাঁচে খেলার কথা ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘যাই হোক যেখানে খেলেছে সেটা বড় কথা নয়। ও ভালো খেলেছে। ওর খেলা দেখেছি।’
খেলা শেষ হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বিসিবি সভাপতিকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ‘দোয়া করতে করতে তো আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।’
পাপন বলেন, ‘খেলা শেষ হওয়া মাত্রই প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন। পরে আফিফ হোসেন ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেই।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply