বুধবার সংসদে পাস হয়েছে নতুন আইন। এই আইন পাস হওয়ার ফলে এখন থেকে কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। গ্রেফতার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
নতুন আইনের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবার মাহমুদকে। আইনের প্রতিক্রিয়ায় ইকবাল বলেছেন, “আমাদের কোনো অসুবিধা বা সমস্যা হবে না”।
আইনের এই ধারাটি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে অনেকে মনে করছেন।
বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “শোনেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টা অন্য বিষয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করে গ্রেপ্তার করতে হবে, পালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার করবে। কোনো অসুবিধা নেই।”
তবে নতুন আইনটি এখনও দেখেননি বলে জানান সাবেক এই সচিব। তিনি সংবাদপত্র পড়েই এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “পত্রিকায় যতটুকু দেখেছি, তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই, বরং সহযোগিতা হবে। সরকারি দায়িত্ব পালনকালে সংঘটিত ফৌজদারি অপরাধে কাউতে গ্রেপ্তার করা যাবে না- কিন্তু ঘুষ খাওয়া কি সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ? তাহলে অসুবিধা কোথায়?
“আর আপনি ধরেই নেন যে ঘুষ খেয়েছে, তাকে ধরা হয়েছে। তাকে ধরা হলে সে কি মামলা করবে যে আমাকে ঘুষ খাওয়ার জন্য মামলা করেছে?”
নতুন আইনে দুর্নীতিবাজদের খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন ইকবাল মাহমুদ।
“যারা এই আইনে খুশি হবে, তারা আসলে ইন্টেলিজেন্ট লোক না। আপনাদেরকে আবারও বলতে চাই, কারও কোনো খুশি হওয়ার কারণ নেই। যারা ঘুষ খায় বা নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাদের উৎসাহিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
এ আইন দুদক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি তো লইয়ার না। আমি বলতে পারব না। যে ঘুষ খাবে, তাকে ধরতে দুদকের কোনো অসুবিধা হবে না।”
দুদকের ফাঁদ পেতে আসামি ধরা চলবে কি না- জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “সবই চলবে। কোনো কিছুরই অসুবিধা হবে না। দুদকের খর্ব করার জন্য এই আইন নয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply