সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ভাড়াটিয়া এক নারী শ্রমিক ও তার শিশু কন্যাকে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারী পোশাক শ্রমিক খোরশেদা ও তার ১০ বছরের শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে আশুলিয়ার পশ্চিম বাইপাইল এলাকায় এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিস সংলগ্ন গফুর মন্ডলের ভাড়া বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার শিকার নারী শ্রমিক খোরশেদা বেগমের স্বামী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি আশুলিয়ার পশ্চিম বাইপাইলের এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিস সংলগ্ন গফুর মন্ডলের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। দারিদ্র্যের কারণে নিজে বাড়িওয়ালা গফুর মন্ডলের গরুর খামারে কাজ করতেন। তার স্ত্রী খোরশেদা বেগম স্থানীয় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
প্রায় এক বছর আগে অসুস্থতার কারণে তার স্ত্রী চাকরি ছেড়ে দেয়। এ সময় তিনি স্ত্রীর চিকিৎসা, সন্তানের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ মেটাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে স্ত্রীর অপারেশনের জন্য খামারে কাজ করে পরিশোধ করার শর্তে বাড়ির মালিক গফুর মন্ডলের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন শফিকুল ইসলাম।
গতকাল রাতে হঠাৎ বাড়ির মালিক পাওনা টাকার জন্য তাগাদা দিলে স্ত্রী খোরশেদা বেগমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় বাড়ির মালিক গফুর তার স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তার দশ বছরের শিশু কন্যা সবিতাও হাতুড়ির আঘাতে আহত হয়।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমজাদুল হক বলেন, ‘মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে খোরশেদা নামে এক নারী ও হাতে ব্যথা পেয়ে তার শিশু কন্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে তারা বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করছি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, এ রকম কোন ঘটনা তার জানা নেই। তবে হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply