ইউটিউবে বিচিত্র অভিনয়, গান আর নাচ দেখিয়ে দেশব্যাপী হঠাত করেই আলোচনায় এসেছিলেন হিরো আলম।
এবার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহনের কথাও ভাবছেন তিনি। ইতোমধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৪ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন তিনি।
গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে হিরো আলমের কাছে আলোচনা-সমালোচনার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মিডিয়ায় কেউ সিলিব্রেটি হলে, তাকে নিয়ে কথা হবেই। আমি হিরো এটা আমার একটা পরিচয়, আবার রাজনীতি আমার আরেকটা পরিচয়। কেউ কোনটাকে নেগেটিভলি নেবে আবার কোনটাকে পজেটিভলি নেবে।
হিরো আলম বলেন, লোকজন কথা শুরু করলে, কথা বলতেই থাকবে, থামবে না। তাদের সব কথা মাথায় নিলে তো আমি কাজ করতে পারব না। তাই আমি ওসব কথা পাত্তা দেই না।
নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে হিরো আলমকে মিডিয়ার বিভিন্ন টকশো থেকে শুরু করে টিভি অনুষ্ঠানগুলোতে অতিথি হিসেবে দেখা যায়।
হিরো আলমের অতীত খুঁজতে তার নিজ বাড়ি বগুড়ায় গেলে জানতে পাওয়া যায় হিরো আলমের বিস্তারিত পরিচয়।
বাড়িতে গিয়ে দেখা মিলে হিরো আলমের বাবা আব্দুর রাজ্জাক (সৎ বাবা), মা আশরাফুন বেগম, স্ত্রী সাবিহা আক্তার সুমি, বড় মেয়ে ২য় শ্রেণির ছাত্রী আলোমনি, মেজ মেয়ে ১ম শ্রেণির ছাত্রী আঁখি আলো এবং ৪ বছরের ছেলে আবির হোসেনের সঙ্গে।
হিরো আলমকে নিয়ে প্রশ্ন করলে তার বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানায়, ওর বাবা আহম্মদ মারা গেলে আমি আশরাফুন বেগমকে বিয়ে করি। এরা তিন বোন এক ভাই। নিজের ছেলেমেয়ের মতোই তাদের মানুষ করেছি। মেয়েগুলোর বিয়ে হয়ে গেছে। আলমের ডিশের ব্যবসা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেই ব্যবসাটি মূলত তিনিই দেখাশুনা করেন। আলম ইচ্ছেমতো টাকা উড়ায়। মিউজিক ভিডিও বানানোর নামে রাতদিন পড়ে থাকে নানা জায়গায়। বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী সন্তানদের কোনো খোঁজ রাখে না সে।
জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু নন্দীগ্রাম) আসন থেকে হিরো আলমের নির্বাচন করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাড়ির, ছোলপোলের খোঁজ লেয় না, আবার এমপির ভোট করিচ্চে। অক কাহালু নন্দীগ্রামের কে চেনে? আসলে এগলা অর ট্যাকা খাওয়ার জন্নে কিছু মানুষ ভুল বুঝে অক ল্যাচা লিয়্যা বেড়াচ্চে। আলমের মেয়ে আলোমনি জানে না তার বাবা এখন কোথায়, কি করছে? বাড়ির কোন খোঁজ রাখে না সে।
হিরো আলমকে নিয়ে এরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মন্ডল বলেন, এক বছর আগে ওর শালি (স্ত্রীর ছোট বোন) বিলকিসকে নিয়ে পলাসলো। সেই বিচার করে দেয়া লাগছে। আর বিচারতো হামাক মাঝে মধ্যেই করা লাগে। ট্যাকা লিয়্যা দুই একদিন পরপরই ঝামেলা লাগায়। তারপরেও এলাকার ছ্যোল, ভালোই আছলো। তাই ক্যামা আবার লির্বাচন করিচ্ছে। আসলে মাতা পাগলা হলে ইংকাই হয়। এটি মেম্বরত উটবার পারেনি। আবার জাতীয় লির্বাচন। আসলে এনা ট্যাকা হচে তো। গরমে থাকপার পারিচ্চে না।
হিরো আলমের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার তরুণ প্রজন্ম হিরো আলম সম্পর্কে জানলেও আসলে প্রবীণরা তাকে চেনেই না।
নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হওয়া কেবল একটি মনোনয়ননের বিষয় নয়। একজন জনপ্রতিনিধিকে থাকতে হবে সুন্দর চরিত্র এবং মনুষ্যত্ব বোধের অধিকারী। যেন এঁদের দেখে অন্যরা কিছু শিখতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply