আড়ংকে জরিমানা করার পরপরই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে বদলি করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
সোমবার (৪ জুন) দিনগত রাত সোয়া দুইটায় তিনি ফেসবুকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তার ফেসবুকে লেখেন, ‘৭৩০ টাকার পাঞ্জাবি ১৩০৭ টাকায় বিক্রয়! আড়ং উত্তরাকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দায়িত্বপরায়ণ উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। ঈদ উপহার হিসেবে তিনি একদিনেই ঢাকা থেকে খুলনা বদলি! অথচ উনি যদি কিছু নগদ নারায়ণ নিয়ে ভোক্তাদের বোকা বানাতে আড়ংয়ের অপকর্ম এড়িয়ে যেতেন, তাহলে আর এই সততার বিনিময়ে কপালে এই অপমান জুটত না। যাই হোক, আড়ং তার হ্যাডাম দেখিয়েছে, এবার গণমানুষ তথা ভোক্তাদের পালা… সবাই একযোগে আড়ংকে বর্জন করুন এবং জনস্বার্থে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে পূর্ণ ক্ষমতায় স্বপদে বহাল রাখতে আওয়াজ তুলুন। দেশে ফিরলে আমি এই গুরুতর অন্যায়ের বিষয়ে নেত্রীকে অবহিত করব। কেন এবং কাদের ইন্দনে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হলো। এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না!’
সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর উত্তরায় আড়ংয়ের শোরুমে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করার পরপরই উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন তার নতুন কর্মস্থল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা জোন।
ওই শোরুমকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করা হয়। আড়ংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ৭০০ টাকার পাঞ্জাবি বিক্রি করছিল এক হাজার ৩০০ টাকায়।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের তত্ত্বাবধানে অভিযানটি পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল।
উপপরিচালক শাহরিয়ার বলেন, গত ২৫ মে একজন ক্রেতা উত্তরায় আড়ং থেকে ৭১৩ টাকায় একটি পাঞ্জাবি কেনেন। ৩১ মে একই পাঞ্জাবি কিনতে গেলে তার থেকে এক হাজার ৩১৫ টাকা রাখা হয়। ওই ভোক্তার অভিযোগে আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে আমরা সত্যতা পায়। অভিনব কায়দায় আড়ং ক্রেতাদের ঠকাচ্ছিল। একটি পাঞ্জাবির দাম কী করে মাত্র ছয়দিনের ব্যবধানে ৬০০ টাকা বেড়ে যায়। আড়ংয়ের শোরুমের কর্মকর্তারা এর কোনো কারণ জানাতে পারেননি। তাই তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আড়ংয়ের প্রতি ক্রেতাদের সরল বিশ্বাস রয়েছে। তারা একটি ব্র্যান্ড। এটি পুঁজি করেই ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। জরিমানা করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি জানান, মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ জানাতে আড়ংকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদপ্তরে ডাকা হয়েছে। যৌক্তিক ব্যাখ্যা না পেলে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply