‘ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর ছাত্রলীগে যোগ দিচ্ছেন’- এমন খবরের মাধ্যমে তার ইমেজকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য এক ধরনের অপ্রচার বলে মন্তব্য করেছেন নুরুল হক নুর।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন করা ৫ শিক্ষার্থীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নুর বলেন, আমাকে নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত করা এবং আমার ইমেজকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য এটি একধরনের প্রচারণা। আমি আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। তবে এখন আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো ধরনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নেই। আমিতো একটি সংগঠনের সঙ্গে আছি। তাহলে অন্য রাজনৈতিক দলে আমি কেন যাব? এটার তো প্রশ্নই ওঠে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আজ চারদিন যাবৎ আমার ভাই-বোনেরা এখানে অনশন করছেন। আমি হতাশ হলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সাথে একবারের জন্য কথা বলতেও আসেন নাই এবং তাদের দেখতেও আসেননি।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি তাদের সাথে দেখা করতে এসেছি। এখানে আমার কিছু ভাইয়েরা আছে যারা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনশন করছেন। তাদের দাবি পুনর্নির্বাচন। আমি তাদের দাবির সাথে অনেক আগেই একমত হয়েছি এবং প্রশাসনকেও বলেছি যে অনিয়ম হয়েছে সেজন্য পুনর্নির্বাচনের আয়োজন করা। আমি মনে করি ন্যায্য দাবির কথা একজন বললেও সেটা আমলে নেয়া উচিত। আমি এতোদিন আসতে পারিনি কারণ আমি নিজেও অসুস্থ।
কাল শনিবার গণভবনে যাচ্ছেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই অনিয়ম এবং কারচুপির পরও যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের প্রধানমন্ত্রী চায়ের আমন্ত্রণ করেছেন। তবে আমি যাওয়ার পক্ষে। কেননা তিনি ডেকেছেন। আমরা আমাদের সমস্যাগুলোর কথা তার কাছে তুলে ধরব। তবে আমি আমার আন্দোলনকারী ভাইবোনদের সাথে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply