কামরান আহমেদ রাজীব কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল যেন দালালের অভয় আশ্রম। প্রতিনিয়ত রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষার নামে চলছে প্রতারণা। আজ বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) সকালে কুষ্টিয়া হাসপাতাল থেকে একটি রোগীকে কৌশলে ইসিজি করার নাম করে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসে সেখানকার নিযুক্ত দালাল আরিফ। পরে ওই দালাল নিজেই ইসিজি করতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরে একটি রুমে ঢোকার ওই মেয়েটিকে। একপর্যায়ে মেয়েটি কে রুম রেখে স্বামী এবং সন্তানদের বের করে দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দালাল আরিফ। পরে মেয়েটি চিৎকারে স্বামী ছুটে গেলে লম্পট আরিফ পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে কিছু ডাক্তার দালালদের পৃষ্ঠপোষক। তাদের ছত্রছায়ায় কিছু দালাল এহেন অপকর্মগুলো নির্বিঘ্নে চালিয়ে যায়। হাসপাতালে বেশকিছু ডাক্তারের প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকার কারণে রোগীরা হাসপাতালের সেবা থেকে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হলেও দেখার যেনো কেউ নেই! দুই সন্তানের জননী ওই নারী জানান, আজ তিনি বুকে ব্যথার জন্য হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে ছিলেন। হাসপাতালের ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে দালাল আরিফের খপ্পরে পড়ি। সে আমাকে ফুঁসলিয়ে ইসিজি করার নাম করে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমার স্বামী ও সন্তানদের বের করে দেয়।
এরপর আমার জামা কাপড় খুলে সারা গায়ে ক্রিম লাগিয়ে স্পর্শ কাতর জায়গাগুলোতে টিপতে থাকে। এর এক পর্যায়ে আমি চিৎকার দিলে দালাল আরিফ পালিয়ে যায়। আমার স্বামী ঘটনাটি দ্রুত কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশকে জানায়। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ওসি তদন্ত সঞ্জয় কুমার দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। এবং আরিফকে আটক করতে সক্ষম হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত সঞ্জয় কুমার জানান, দুই সন্তানের জননী কে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আসে আমাদের কাছে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ষণের চেষ্টাকারী কুষ্টিয়া মডেল থানা দিন রহিমপুর মন্ডল তেল পাম্পের পাশের জাকির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম কে আটক করি।আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক শেখ রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নয় বলে ফোন কেটে দেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমা্ন
Leave a Reply