বিএনপি এবার নির্বাচনী কৌশল হিসেবে প্রায় প্রতিটি আসনে একের অধিক মনোনয়ন দিয়েছে। জামালপুর-৫ (সদর) আসনেও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে দুজনকে। একজন পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহ মো. ওয়ারেছ আলী ওরফে মামুন, অপরজন সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক।
এরা দুজন সম্পর্কে শালা-দুলাভাই। দুজনই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই দুজনকে নিয়ে এখন নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে আলোচনা।
সর্বশেষ ভোটযুদ্ধে থাকছেন কে এখনই নিশ্চিত নয়। তবে বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর বিশ্বাস জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা শাহ মো. ওয়ারেছ আলীকেই সর্বশেষ ভোটযুদ্ধে রাখা হবে। দলের কৌশলগত কারণে সিরাজুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে অনেক নেতা-কর্মী মনে করছেন।
এই আসনে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮১৮ জন ভোটার। এর মধ্যে ২ লাখ ৪০ হাজার ৪৪১ জন নারী এবং ২ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৭ জন পুরুষ ভোটার। এই আসনে ১৫০টি কেন্দ্রের ৮৬৮টি ভোটকক্ষে ওই সব ভোটার তাঁদের ভোট প্রয়োগ করবেন।
এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী, সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলোফার চৌধুরী ওরফে মণি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তি পরিষদের সহসভাপতি রবিউল আলম। তাঁদের মধ্যে শাহ মো. ওয়ারেছ আলী ও সিরাজুলকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
গত বুধবার দুপুরে শাহ মো. ওয়ারেছ আলী দলীয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে শহরের ফৌজদারি এলাকায় দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে এক দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। পরে সেখান থেকে তিনি কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিরাজুল হকও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জনপ্রিয়তা যাচাই করেই শাহ মো. ওয়ারেছ আলীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এই আসনে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনার মতো প্রার্থী একজনই, সেটা শাহ মো. ওয়ারেছ আলী। দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকেই মনোনয়ন দিয়েছে। রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে হয়তো সঙ্গে আরেকজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply