ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন আইনের লোক হয়ে আইন তামিল করেন নি। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণ না করে সাধারণ জনগণের মতো ভয় পেয়ে পলাতক হন। ২০ দিন পলাতক থাকার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছেন।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে শুনানির সময় আদালতের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার বাদি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শুনানিতে তিনি ওসি মোয়াজ্জেমের জামিনের বিরোধীতা করে বলেন, মোয়াজ্জেম আইনের রক্ষক ছিলেন, এক সময় তিনি পুলিশ বাহিনীর হয়ে আইনের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারতেন। অথচ তিনি তা না করে সাধারণ জনগণের মতো ভয় পেয়ে ২০ দিন পলাতক ছিলেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তিনি যদি কোনো অপরাধ না করে থাকেন, তাহলে কেন পালিয়ে বেড়িয়েছেন? আত্মসমর্পণ কেন করলেন না? গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর পলাতক অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছেন।
ওসি মোয়াজ্জেমকে শাহবাগ থানা থেকে প্রিজনভ্যান করে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। আদালতে নেওয়ার সময় তার হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়নি। এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আদালত বাদী ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন। পরে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামস জগলুল হোসেন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ওসি মোয়াজ্জেমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পর এজলাস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মামলার বাদি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মোয়াজ্জেমকে হাতকড়া ছাড়া আদালতে আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আসামিকে হাতকড়া না পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এ জন্য আমি পুলিশ বাহিনীকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, সাবেক এই ওসিকে যেভাবে আপনারা হাতকড়া না পরিয়ে আদালতে এনেছেন একজন সাধারণ আসামির সাথেও যাতে এমনটাই করা হয়। কারণ আইন সবার জন্য সমান।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply