কবরে ফেরেশতারা প্রশ্ন করবে
হাদীস: হযরত আসমা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক সময় হযরত আয়েশা (রা) এর কাছে এসেছিলাম, তখন তিনি নামাজ পড়তে ছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, লোকদের কি অবস্থা? তখন তিনি আসমানের দিকে ইশারা করলেন। আমি দেখতে পেলাম সব লোকই নামাজে দাঁড়ানো। অতঃপর তিনি মুখে ‘সুবাহানাল্লাহ’ বললেন।
আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম কোন আযাব গজবের লক্ষণ আছে কিনা? অতঃপর তিনি মাথা দ্বারা হ্যাঁ সূচক ইঙ্গিত করলেন। তারপর আমি ও তাদের সাথে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলাম। অনেক সময় নামাজে একইভাবে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আমার হুশ হারিয়ে ফেললাম। তা দূর হওয়ার পর আমি আমার মাথায় পানি ঢালতে লাগলাম। অতঃপর নবী করীম (সাঃ) মহান আল্লাহ হামদ ও সানা আদায় করার পর বললেন। ইতোপূর্বে আমি যে সব বস্তু কখনো দেখতে পাইনি।
আজ এখানে এ মুহূর্তে আমাকে ঐ সব বস্তু দেখানো হয়েছে। এমন কি বেহেশত ও দোযখ দেখানো হয়েছে এবং আমার কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে। অবশ্যই তোমাদেরকে কবরে দাজ্জালের ফেতনার মতো অথবা তার অনুরূপ ফেতনা দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। হযরত আসমা (রা) আরো বলেন, কবরের মধ্যে মৃত্যু ব্যক্তিকে ফেরেশতা কর্তৃক প্রশ্ন করা হবে। এই ব্যক্তি অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে তোমার কি কিছু জানা আছে?
তখন ঈমানদার ব্যক্তি হলে উত্তর দিবে, ইনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যিনি আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের মোজিযা এবং হিদায়েত সহকারে এসেছিলেন।
আমরা তাঁর কথায় সাড়া দিয়ে তাঁর উপর ঈমান গ্রহণ করেছি। ইনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিন তিনবার একথা বলবেন। তারপর ফেরেশতারা তাকে বললেন, তুমি আরামের সাথে ঘুমাও। আমরা জানতাম তুমি তার প্রতি বিশ্বাসী ছিলে। আর যারা মুনাফিক অথবা সন্দেহ পোষণকারী তারা উত্তর দিবে, এ ব্যক্তি সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply