ঢাকার ধামরাই পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগের নেত্রী মালেকা বেগমের ছেলে ইমন হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে জাহানারা বেগম। কাউন্সিলের ছেলে বিধায় পুলিশও তাকে গ্রেফতার করছেন না বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদি।
ফলে মামলার বাদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত ইমন হোসেন। তবে পুলিশ বলছে মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে। মামলা সূত্রে ও ভুক্তভোগি পরিবার জানান, পৌরসভার ছোট চন্ডাইল মহল্লার আব্দুল বারেকের ছেলে জহিরুল ইসলাম সোহেল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
ওই এলাকার মহিলা কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেত্রী মালেকা বেগমের ছেলে ইমনের সাথে ডিস ব্যবসার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সোহেলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।কথা কাটাকাটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩ অক্টোবর কাউন্সিলর ছেলে ইমন হোসেন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সোহেলের বাড়িতে হামলা করে।
সোহেলকে ধারালো দাঁ দিয়ে এলোপাথারি ভাবে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে সোহেলের মা জাহানারা বেগম বাদি হয়ে মিজানুর রহমান জুয়েল (২৬), ইমন হোসেন (৩০),ফরহাদ হোসেন (২৪),রাজু মিয়া (৪০), আলমগীর (৩০), কামরুল ইসলাম (২২), আক্কাস আলীসহ মনির হোসেন (২৬) নামে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলা পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বাদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এতে মামলার বাদি ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মামলার বাদি জাহানার বেগম জানান, কাউন্সিলরের ছেলে ইমনকে আমার ছেলে তার ডিস ব্যাবসায় ভাগ না দেওয়ায় আজকে আমার ছেলের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তাছাড়া আদালতেও আমাদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করে আমাদের হয়রানি করতেছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা বলেন,আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। তাছাড়া আসামীরা নাশকতা মামলার আসামি। পৌরসভার সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামীলী নেত্রী মালেকা বেগম সব ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, সোহেলকে অমানুষিক ভাবে মারা হয়েছে এটা সত্যি তবে আমার ছেলে ঘটনার সাথে জড়িত না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply