মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শীর্ষ কূটনৈতিক সাংবাদিকদের একটি দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় অংশ নেন ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামের মতো কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নেই।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রিংলা বলেন, কোনো রাজনৈতিক জোট জামায়াতের কোনো চিহ্নিত নেতাকে মনোনয়ন দিচ্ছে কি না- সে ব্যাপারে ভারত নজর রাখছে।
তবে এ বিষয়ের ভারতের কিছু বলার নেই জানিয়ে তিনি মনে করেন, জামায়াতের নেতাকে কোনো জোট মনোনয়ন দিলে বাংলাদেশের মানুষই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে।
শ্রিংলা জানান, যে সরকারই আসুক ভারতীয় অর্থায়নের বাংলাদেশে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো রয়েছে তার ধারাবাহিকতা চায় ভারত।
এসময় তিনি বাংলাদেশের ও ভারতের বর্তমান সরকারের মধ্যে গত তিন বছরে ৯২টি চুক্তি সম্পন্ন হবার কথা উল্লেখ করেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ের এক প্রশ্নে শ্রিংলা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে ভারত পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছিল। এবারও নির্বাচন কমিশন চাইলে ভারত পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে।
চীনের সঙ্গে ভারতের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই ধারণামূলকভাবে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে ভারত-চীন প্রভাবের কথা বলে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে এটা সত্য নয়।
এ বিষয়ে আফগানিস্তানে ভারত ও চীনের যৌথভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উদারহণ দেন।
ক্ষমতাসীন দল, বিকল্পধারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার বৈঠক প্রসঙ্গে শ্রিংলা স্পষ্ট করেন, এসবই ছিল তার কূটনৈতিক কর্মপরিকল্পনারই অংশবিশেষ।
বৈঠকগুলো ভিন্নভাবে নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়ে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে ভারতের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেই প্রথম অগ্রাধিকার দেয়।
অসাম্প্রদায়িক একটি দল নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের শাসন ভার গ্রহন করবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমনটাই আশা করে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ মানুষ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply