কারা অভ্যন্তর থেকে ভ্যানে বোঝাই হয়ে বেরোনো গম নিয়ে পুলিশ এবং কারারক্ষীদের টানাহেঁচড়ার ছবি তুলতে গিয়ে বেদম মারধরের ও হামলার শিকার হয়েছেন যুগান্তরের বরিশাল ব্যুরোর ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ।
শনিবার দুপুর আড়াইটায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ গুরুতর আহত হন। তাকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভের মুখে পাঁচ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আহত ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি ভ্যানে করে ১১ বস্তা গম বের করার সময় পুলিশ ওই গম আটক করে। এ সময় কারারক্ষী ও পুলিশের মধ্যে গমের বস্তা নিয়ে টানাটানি হয়। ওই টানাহেঁচড়ার ছবি তুলতে গেলে কারারক্ষীরা কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে বসেই আমাকে মারধর শুরু করে। পরে কারা অভ্যন্তরে নিয়ে গিয়ে বুট দিয়ে লাথি ও এলোপাতাড়ি পেটায় কারারক্ষীরা। এ সময় সামনে জেলার ইউনুস জামান দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনি কোনো বাধা দেননি।’
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং ডিআইজি প্রিজন তওহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিকের কাছে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
পরে কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক ওই ঘটনায় জড়িত কারারক্ষী উজ্জ্বল মিয়া, আবুল খায়ের, আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন, কাওছার ও সাঈদ নামে ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং পরে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে ডিআইজি প্রিজন তওহিদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে গম জব্দের বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই মাইনুল জানান, কারাগার থেকে গম পাচারের খবরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাজার রোড থেকে দুই ভ্যানে ২২ বস্তা গম জব্দ করা হয় এবং ভ্যান দুটির চালককেও আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসআই বলেন, আমরাও শুনেছি গমের ছবি তুলতে এখানে এক সাংবাদিকের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। বিস্তারিত কিছু জানি না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply