১৫ মে ভোটের দিন রেখে গত ৩১ মার্চ গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। সে অনুযায়ী ভোটের প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু ঢাকার সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ রিট আবেদন করলে গত ৬ মে নির্বাচন তিন মাস স্থগিতের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থীর আবেদন এবং নির্বাচন কমিশনের লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ গত বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ বাতিল করে ২৮ জুনের মধ্যে ভোট করার নির্দেশ দেয়।
রোববার কমিশন সভায় ২৬ জুন নির্বাচন হবে বলে চূড়ান্ত করা হয়- ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনের জন্য নতুন করে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন পড়বে না। প্রার্থীরা ১৮ জুন থেকে আবারও প্রচারের সুযোগ পাবেন।
রোববার কমিশন সভায় ভোটের নতুন তারিখ ঠিক হওয়ার পর ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, আদালতের আদেশ প্রতিপালন করতে হবে। কোনো ধরনের পর্যবেক্ষণ থাকলেও তা ভোটর আগে সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, “১৭ জুন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রচার চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা। কেউ প্রচারের চেষ্টা করলে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনর কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্তকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সামনেই জাতীয় নির্বাচন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি দুটো দলই তাই চাইবে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জয়লাভ করে নেতা কর্মীদের মধ্যে আগ্রহ উত্তেজনা তৈরী করতে।
Leave a Reply