ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া বাজারে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম নামে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সাইফুলের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের সেজিয়া গ্রামে। সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসা করেন তিনি।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই তার মেয়ের জ্বর। শরীর ভালো না হওয়ায় শনিবার রাতে নাজ ফার্মেসিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান মেয়ের বাবা। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। ওই সময় সাইফুল মেয়ের অবস্থা দেখে পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মেয়ের বাবাকে সকালে পুনরায় পাঠিয়ে দিতে বলেন।
রবিবার সকালে সাইফুলের কথামতো চিকিৎসার জন্য মেয়েটি নাজ ফার্মেসিতে যায়। সাইফুল ওই ছাত্রীর শরীরে ইনজেকশন পুশ করে এবং ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এরপর মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে লম্পট সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে।
স্কুলছাত্রীর মা আরও বলেন, মেয়ের আসতে দেরি দেখে তারা নাজ ফার্মেসিতে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply