অস্ত্র মামলায় আটক ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তিসহ চার দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিদির্ষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যায়নি শিক্ষকদের বাস। ক্যাম্পাস জুড়ে ঘুরছে না কোন চাকা। বন্ধ রয়েছে দোকান পাট। শাটল চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনরত ছাত্রলীগ কর্মীরা।
শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন বলেন, চার দফা দাবিতে ছাত্র ধর্মঘট চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, ২০১৫ সাল থেকে সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, হাটহাজারী থানার ওসির প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা মির্জা কবির সাদাফ বলেন, ওসি বেলালের নেতৃত্বে আমাদের ছাত্রলীগের ৬ কর্মীকে শুধু শুধু গ্রেফতার করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাদের হাতে অস্ত্র না থাকলেও তাদের অস্ত্র মামলায় চালান করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাইদের মুক্তির দাবিতে এবং ওসি বেলালকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এই দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসে অবরোধ চলছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালীন ৬ ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র মামলায় কোর্টে চালান দেয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।
এদর মধ্যে চবি আইন বিভাগের ছাত্র খালেদ মাসুদ, একই বিভাগের শাকিল হাসান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সিফাত উল্লাহ সরকার শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের কর্মী।
এছাড়া ইংরেজি বিভাগের বেলাল হাসান, ইতিহাস বিভাগের অমিত রয় এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ইয়াসিন আরাফাত শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের কর্মী। এছাড়া এরা সবাই শিক্ষা উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply