চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার আন্দোলনে সম্মতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
রোববার (২৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড আইডিতে বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার একটি পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি লেখেন- ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নীত করার দাবিটি আমার কাছে অত্যন্ত যৌক্তিক মনে হয়, আমি নৈতিকভাবে এই দাবীকে সমর্থন করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যাশা রাখি, লাখো বেকার ভাইবোনদের প্রাণের চাওয়াটি সরকার অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যদি চাকরিতে ৫৯ বছর বা অবসরের আগের দিন পর্যন্ত রাখতে পারে। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে পারবে না?’
এদিকে গোলাম রাব্বানীর সম্মতি দেয়ার পর ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘প্রায় এক তৃতীয়াংশ প্রভাবশালী মাননীয় মন্ত্রীরা ৩৫ এর পক্ষে মতামত দেন, দিচ্ছেন। শ’ খানেক পার্লামেন্ট মেম্বার ৩৫ কে সাপোর্ট করে সংসদে প্রস্তাব পেশ করেন। আমাদের রাষ্ট্রের অভিভাবক মহামান্য রাষ্ট্রপতিও ৩৫ কে নৈতিকভাবে সাপোর্ট করেন। আমার প্রশ্ন হলো, তাহলে ৩৫ হচ্ছে না কেন? রেজাল্ট আসছে না কেন? দেশের লক্ষ লক্ষ ৩৫ প্রত্যাশীদের পক্ষ থেকে বলছি, সদ্য নির্বাচিত ডাকসু ভিপি নূরুল হক নুর এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রব্বানী ভাইকে বিনীত অনুরোধ করছি। আপনারা উদ্যোগ নিয়ে দ্রুতই দাবিটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন, দায়িত্ব নিয়ে ৩৫ এর একটা সুরাহা করুন। আমরা আপনাদের সাথে আছি।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র পরিষদ (বাসাছাপ)। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ করছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তবে এখনো আশানুরুপ কোন ফল পাননি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। দাবি আদায়ে শিগগিরই বড় কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য চেষ্টা চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে তা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply