বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্ব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে চান মোট ৭৬ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯ জন নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন নারী প্রার্থী ফরম কিনেছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন- বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের নাদিয়া পাঠান পাপন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডালিয়া রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, আজিম উদ্দিন মেরাজ, মো. ইলিয়াস, হাফিজুর রহমান হাফিজ, মো. মামুন খান, সাজিদ হাসান বাবু, আল মেহেদি তালুকদার, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, তানভীর রেজা রুবেল, মো. এরশাদ খান, এবিএম মাহমুদ আলম, মো. আসাদুল আলম টিটু, এম আরজ আলী শান্ত, মো. সুরুজ মণ্ডল, মো. আবদুল মাজেদ, মাইনুল ইসলাম, মো. ফজলুর রহমান, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, মুহাম্মদ ফজলুল হক নিরব, আরাফাত বিল্লাহ খান, এসএম আল আমিন, মো. জুয়েল মৃধা, আবদুল হান্নান, মো. শামীম হোসেন, এসএএম আমিরুল ইসলাম, সুলায়মান হোসাইন ও আল আমিন কাউছার।
সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- মো. জোবায়ের আল মাহমুদ রিজভী, রিয়াজ মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, মো. ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, সাইফ মাহমুদ জুয়েল হাওলাদার, আবদুল মান্নান, নাদিয়া পাঠান পাপন, এবিএম বাকির জুয়েল, মিজানুর রহমান শরীফ, মো. ওমর ফারুক, মো. হাসান (তানজিল হাসান), মো. আলাউদ্দিন খান, রাশেদ ইকবাল খান, আমিনুর রহমান, ইকবাল হাসান শ্যামল, ইমদাদুল হক মজুমদার, মো. নাইম হাসান, কেএম সাখাওয়াত হোসেন, শাহনেওয়াজ, এএএম ইয়াহইয়া, ডালিয়া রহমান, সোহেল রানা, মোহাম্মদ কারীমুল হাই নাঈম, মো. মহিনউদ্দীন রাজু, আরিফুল হক, মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান রিংকু, মো. আবুল বাশার, মো. মিজানুর রহমান সজীব, মো. জুলহাস উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান, মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, সাদিকুর রহমান সাদিক, আবদুল মোমেন মিয়া, কাজী মাজাহারুল ইসলাম, মো. আজিজুল হক সোহেল, শেখ মো. মশিউর, মো. জামিল হোসেন, শেখ আবু তাহের, মো. তবিবুর রহমান সাগর, মাজেদুল ইসলাম, মাহমুদুল আলম শাহিন, নাজমুল হক হাবীব, মো. জহিরুল ইসলাম (দিপু পাটোয়ারি), আনিসুর রহমান সুমন, এমএম বাবুল আক্তার শান্ত ও মুন্সি আনিসুর রহমান।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে এই দুই পদে মোট ৭৬টি ফরম জমা পড়ে। প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে ফরমসহ কাগজপত্র জমা দেয়। মনোনয়নপত্র জমা দেবার সময়ে প্রার্থী সঙ্গে আসা কর্মী-সমর্থক শিক্ষার্থীদের ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’ শ্লোগানে মুখর ছিল নয়াপল্টন এলাকা।
গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট সভাপতি পদে ৪২ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৭০ জন মনোনয়ন ইচ্ছুক প্রার্থী ফরম কিনেন। ফরমের মূল্য ১শ টাকা। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই দুই পদের নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। সারাদেশের ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর এতে ভোট দেবেন।
মনোনয়নপত্র জমার বিষয়টি জানিয়ে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি দৈনিক জাগরণকে বলেন, সর্বমোট ৭৬টি ফরম জমা পড়েছে। বিক্রি হয়েছিল ১১০টি। আগামীকাল বুধবার থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ দিন জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি।
তিনি জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট। প্রার্থীর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের প্রচারণা ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা আগামী ১৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন।
আগামী ৪ জুলাই প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, তালিকার ওপর আপত্তি ও নিষ্পত্তি ৫ ও ৬ জুলাই এবং চূড়ান্ত তালিকা ৭ জুলাই প্রকাশ করা হবে।
ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সাবেক ছাত্রদল নেতা ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বাছাই কমিটি ও সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply