ছাত্রী উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি, কলেজ ভাঙচুর

পাবনা শহীদ এম মনসুর আলী কলেজে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা কলেজে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পিস্তল বের করে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক ভাবে কলেজে বিক্ষোভ করে বখাটেদের বিচার দাবি করে।

শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ জানান, কলেজের ছাত্রীদের কমন রুমের সামনে কতিপয় বখাটেরা তাদের উত্যক্ত করছিল। ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে তাদের চলে যেতে বাধ্য করি। এই ঘটনার আধাঘন্টা পর বখাটে আকাশ, হাসান, পিন্টুসহ তাদের দলবল নিয়ে ক্যম্পাসে এসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেয়। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। এই ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

কলেজের সিনিয়র শিক্ষক গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, এই ঘটনার পর আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার দাবি করছি। অপর শিক্ষক মতমাইন্না মতিন বলেন, এই কলেজে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ছেলে-মেয়রা পড়তে আসে। স্থানীয় বখাটেরা প্রায়ই মেয়েদের উত্যক্ত করে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের হাতে লাঞ্চিত হতে হয়। এতে এই কলেজের শিক্ষার পরিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে, আমরা এর প্রতিকার চাই।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। বখাটেরা পার্শ্ববর্তী গোলাপবাগ এলাকার। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, এ ঘটনায়  কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের নামে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।