বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার। এখন পর্যন্ত, ৬ বার খেলে প্রতিবারই তারা জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আজ (বৃহস্পতিবার) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে অস্ট্রেলিয়া। বার্মিংহামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
একাধিক ইনজুরি সমস্যায় জর্জরিত অসিরা একাদশে ১টি পরিবর্তন নিয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ খেলতে নামছে। উসমান খাজার পরিবর্তে একাদশে আজ দেখা যাবে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে। অন্যদিকে, কোনো পরিবর্তন না এনেই একাদশ সাজিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
গ্রুপ পর্ব শেষে কাগজে কলমে এগিয়ে অজিরাই। গ্রুপ পর্বে দু’দলের লড়াইয়ে ইংলিশরা ধরাশায়ী হয়েছিল ৬৪ রানে। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থেকেই সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছিল টিম অস্ট্রেলিয়া।
আসরজুড়ে অ্যারন ফিঞ্চ, ওয়ার্নার দুর্দান্ত সূচনা এনে দিচ্ছেন। ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথরাও দারুণ কার্যকরী। বোলিংয়ে আগুন ঝরাচ্ছেন পেসার মিচেল স্টার্ক। আছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার শীর্ষে। তাই ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের স্বভাবতই চোখ রাঙাবেন এই অজি পেসার, সেটি অনেকটা অবলীলায় বলাই যায়।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। গত পাঁচ আসরের চারটিতেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমাদের লক্ষ্য। ইংলিশরা দুর্দান্ত ফর্মে আছে। তাদের বিপক্ষে খেলাটা সবসময় প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয়। আমার বিশ্বাস সেমিফাইনালটাও শ্বাসরুদ্ধর হবে।
স্বাগতিক ইংলিশদের সামনে প্রথম ট্রফি জয়ের হাতছানি। তার আগে পেরোতে হবে সেমির বাধা। মরগ্যান, বেন স্টোকস, জোফরা আর্চাররা তেমন স্বপ্নই দেখাচ্ছেন। টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত জয় দিয়ে। মাঝে কিছুটা ছেদ পড়লেও শেষ দুই ম্যাচে ভারত-নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ট্র্যাকে ফিরেছে স্বাগতিকরা। জেসন রয়, বেয়ারস্টো, মরগ্যানরা আছেন দারুণ ফর্মে।
শুধু কি ব্যাটিং, ইংলিশদের বোলিং নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়ে যেতে পারে যে কেউই। বিশেষায়িত পেসার কেবল মার্ক উড আর জোফরা আর্চার। তবে ক্রিস ওকস, লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটরাও প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে জানেন। এছাড়া মঈন আলী আর আদিল রশিদের স্পিন ঘূর্ণিতে এলোমেলো হতে পারে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং শিবির।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগান বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা দারুণ উপভোগ্য হবে বলে মনে হচ্ছে। গত দু’ম্যাচে আমরা ভারত এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি। ছেলেরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। মাঠে পুরো শক্তি দিয়ে খেললে জয় আমাদের আসবে।
বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো যাক। জয়ের পাল্লা কথা বলছে অজিদের পক্ষেই। বিশ্বকাপের মঞ্চে আটবারের দেখায় অস্ট্রেলিয়ার জয় ৬টি আর ইংল্যান্ডের মাত্র ২। তাতে কি? পরিসংখ্যানকে পাশ কাটিয়ে জয় পেতে কে না চাইবে?
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply