বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার সহকারী হিসেবে থাকবেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রোববার সন্ধ্যায় বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ মাধ্যমের কাছে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষণা করেন।
রোববার ছিলো বিসিবির জরুরি সভা। ধারণা করা হচ্ছিলো চান্দিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর পরবর্তী কোচ নিয়োগের বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে এ সভায়। তখনও ধারণা করা যায়নি যে, সভা শেষে এতো বড় ঘোষণা আসতে পারে।
ফলে নাজমুল হাসান পাপনের ঘোষণাটা এলো অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে। সাকিবের অধিনায়ক হওয়ার ঘোষণাটার মতো, অপ্রত্যাশিত ছিলো তামিম ইকবালের সহঅধিনায়কত্ব হারানোও।
সাকিবের জন্য টেস্ট অধিনায়কত্ব অবশ্য একেবারে নতুন কিছু নয়। ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নয়টি টেস্টে তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে আটটি ম্যাচ বাংলাদেশ হেরেছে। অন্য ম্যাচে সাকিব ছিলেন টেস্টজয়ী অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন মুশফিকুর রহিম। পরপর দুই টেস্টে উইকেট পড়তে ভুল করেন তিনি। এর বাইরেও জন্ম দেন বিতর্ক। কোচ এবং নিজের ফিল্ডিং পজিশন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তখন থেকেই অধিনায়কত্ব হারানোর শঙ্কায় ছিলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষেই মুশফিককে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা উঠেছিলো। তখন অবশ্য এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
মুশফিককে অধিনায়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা চাই ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিক আরো ভালো করুক। এ দিকে খেয়াল করেই মূলত আমরা তাকে অধিনায়কের চাপ থেকে মুক্ত রাখতে চেয়েছি।’
এর বাইরেও আর কোনো কারণ আছে কিনা, এমন প্রশ্ন করা হয়েছিলো বোর্ড প্রধানকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘সব কথা সব জায়গায় বলা যাবে না।’
পাপনের এ কথায়ই এটা স্পষ্ট যে চান্দিকা হাথুরুসিংহের কোনো প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই হয়তো মুশফিককে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও বোর্ড প্রধানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলা হয়নি।
মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মোট ৩৪টি টেস্ট খেলেছে। এর মধ্যে ১৮টি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। নয়টি ম্যাচ ড্র হয়েছে এবং বাকি সাত ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে। মুশফিকুর রহিমই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি টেস্ট জেতানো অধিনায়ক। কিন্তু এই যাত্রাটা আর দীর্ঘ হলো না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / ক.আ।
Leave a Reply