নিউজিল্যান্ডের দারুণ বোলিংয়ের মুখে পড়েও র্যসি ফন ডার ড্যুসেন ও হাশিম আমলার ফিফটির সুবাদে মাঝারি মানের সংগ্রহ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় ম্যাচ নেমে আসে ৪৯ ওভারে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে প্রোটিয়ারা।
এজবাস্টনে টসে হেরে ব্যাট করতে আজ বুধবার (১৯ জুন) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা রীতিমত যেন বোল্ড আউট হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। প্রোটিয়াদের টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই সাজঘরে ফেরেন বোল্ড হয়ে।
মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নিচে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় মাত্র ৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রেন্ট বোল্টের গতি বুঝে উঠতে না পারায় বোল্ড হন কুইন্টন ডি কক।
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ফেলায় হাশিম আমলা ও ডু প্লেসিস প্রথমে বেশ দেখে-শুনে ব্যাটিং করতে থাকেন। বড় জুটি গড়ার পথেই ছিলেন তারা। কিন্তু ১৩তম ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়া শিবিরে লোকি ফারগুসন আঘাত হানলে ভাঙে আমলা-ডু প্লেসিসের ৫০ রানের জুটি। ২৩ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ডু প্লেসিস।
দ্বিতীয় উইকেটের মতো তৃতীয় উইকেট জুটিতেও পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়ারা। এইডেন মারক্রামকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৫২ রান যোগ করেন আমলা। এর ফাঁকে ক্যারিয়ারের ৩৭তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন তিনি। মিচেল স্যান্টনারের স্পিনে পরাস্ত হওয়ার আগে এই ডানহাতির ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান।
এরপর উইকেটে সেট হয়ে বাজে শট খেলে আউট হন মারক্রাম। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে অযাচিত শট খেলতে গিয়ে কলিন মুনরোর তালুবন্দী হন তিনি। পঞ্চম উইকেটে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি গড়েন ড্যুসেন ও ডেভিড মিলার (৭২ রান)। দুজনেই খেলেন সময়োপযোগী ইনিংস।
লোকি ফারগুনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ডেভিড মিলার ৩৬ রানে সাজঘরে ফিরলেও, ফিফটি তুলে নেন ড্যুসেন। খেলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস। অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি। তার ৬৭ রানের সুবাদেই মূলত স্কোরবোর্ডে ২৪১ রান জমা করতে পারে ডু প্লেসিসের দল।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে একাই ৩ উইকেট নেন ফারগুসন। অন্যদিকে, ১টি করে উইকেট পেয়েছেন বোল্ট, স্যান্টনার ও গ্র্যান্ডহোম।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply