গোলাম মহিউদ্দীন(ঢাকা):আগামী ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার মধ্যে কুরবানির হাট নিয়ে জনগনের মাঝে রয়েছে আতংক তেমনি ব্যবসায়ীরা রয়েছে চিন্তিত। বর্তমানে দেশের কোরোনা ভাইরাস ডিজিজ (কোভিড-১৯) সংক্রমণে আক্রান্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রশাসন হাটের বিপক্ষে থাকলেও জনস্বার্থে ও ধর্মীয় বিষয় চিন্তা করে সল্প সংখ্যক হাটের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষি)। ঢাকা উত্তরসিটি করপোরেশনে ১০ অস্থায়ী কুরবানির হাট বসার কথা হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিবেচনায় ৫ টি হাটের অনুমতি দিয়ে ইজারা দেয় ডিএনসিসি।
ঢাকা উত্তর সিটির ইজারা চূড়ান্ত হওয়া কুরবানীর অস্থায়ী হাটগুলো হলো,(১) কাওলা-শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, (২) উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, (৩) সম্পূর্ণ নতুন হিসেবে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজসংলগ্ন মস্তুল – ডুমনি বাজারমুখী রাস্তার উভয়পাশের খালি জায়গা, (৪) ভাটারা সাঈদনগর ও (৫) আব্দুল্লাহপুর এলাকায় বেঁড়িবাধ সংলগ্ন মৈয়নারটেক শহীদনগর এলাকা।
যে পাঁচটি হাট ইজারা দেওয়া যায়নি, সেগুলো হলো,
(১) উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ ও ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা, (২) ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, (৩) বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাব নগর) ব্লক-ই সেকশন ৩-এর খালি জায়গা, (৪) মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কসংলগ্ন (বছিলা) পুলিশ লাইন ও (৫) মিরপুর সেকশন ৬ ওয়ার্ড ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং)।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে ও কাঙ্খিত দর না পাওয়ায় উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ এবং ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে হাটগুলো বাতিল করে গত দুই জুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএনসিসি। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজ্জাম্মেল হক বলেন, আমরা প্রথমে তিনটি হাটের ইজারা সম্পন্ন করেছিলাম। করোনার ঝুঁকি বিবেচনায় আর কোনো হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে কিছু এলাকা ও জনগণের কথা চিন্তা করে হাট বাড়ানোর বৈঠকে আরও দু’টি হাট (ভাটারা ও মৈয়নারটেক) ইজারার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব হাটের জন্য কাঙ্খিত দর পাওয়া যায়নি। তবু জনস্বার্থে এসব এলাকায় হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ভাটারা এলাকার আশপাশে আর কোনো হাট না থাকায় সে এলাকার বাসিন্দাদের পশু কিনতে বড়ধরনের সমস্যা তাই ২ টি হাট বৃদ্ধি করে মোট ৫ টি হাটের অনুমতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করোনা ভাইরাস ডিজিজ এর কতা বিবেচনা করে ডিএনসিসি চালু করেছে ডিজিটাল হাট।মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন,দেশে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা জনগণের নিরাপদ রাখার জন্য ডিজিটাল হাট চালু করেছি।তিনি অনলাইনে প্রাণী ক্রয় করে কুরবানী দেওয়ার আহ্বান জানান।
Leave a Reply