যে ব্যক্তি ভাগ্যবান:
হাদীস: হযরত হুমাইদ ইবনে আবদুর রহমান (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত মুয়াবিয়া (রা)-কে একবার খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি, তিনি (মুয়াবিয়াকে) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘য়ালা যার মঙ্গল কামনা করেন, তাকে দ্বীনের এলেম দান করেন। আর আমি হলাম একমাত্র বন্টনকারী এবং আল্লাহ হলেন এলেমের দানকারী। রাসূলেপাক (সাঃ) আরো বলেন, এ উম্মতের একদল লোক কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর দ্বীনের উপর অর্থাৎ হকের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাদেরকে কোন প্রকার বাধা-বিপত্তিই কখনো ক্ষতি করতে পারবে না।
দু‘কারনে হিংসা করা জায়েয:
হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)হতে বর্নিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হিংসা জায়েয নেই। কিন্তু দু‘কারনে হিংসা করা বৈধ বা জায়েয। একব্যক্তি হচ্ছে, যাকে আল্লাহ পাক অধিক ধন-সম্পদ দান করেছেন। আর সে তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার জন্য ব্যস্ত রয়েছে। এবং অপর ব্যক্তি যাকে আল্লাহ পাক এলেম ও হিকমত দান করেছেন অতঃপর সে তদনুযায়ী মীমাংসা করে এবং মানুষদেরকে তা শিখায়।
নাবালেগদের অপরাধ মাফ:
হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বিদায় হজ্জের সময় একটি গাধীর উপর আরোহণ করে এসেছিলাম। সে সময় আমি বালেগ হওয়ার নিকটবর্তী হয়েছিলাম। সে সময় রাসূলেপাক (সাঃ) মিনাতে নামায পড়ছিলেন। সামনে কোন সাহাবারা ছিল না। আমি নামায়ের কোনে এক কাতারের সম্মুখ দিয়ে চলে গেলাম। পরে আমি আমার গাধীটাকে বিচরণের জন্য ছেড়ে দিয়ে কাতারের মধ্যে শামিল হয়ে গেলাম। কিন্তু কেউ আমার এ কাজের জন্য কোন প্রতিবাদ করেনি।
নবী পাক (সাঃ) এর মুখের কুলি বরকতময়:
হাদীস: হযরত মাহমুদ বিন রবী (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলেপাক (সাঃ) এর মুখ মোবারকের সেই কুলিটি আমার স্মরণ আছে। যা তিনি পাত্র হতে পানি মুখে নিয়ে আমার মুখে ঢেলে দিয়েছিলেন। সে সময় আমার বয়স মাত্র পাঁচ বছর ছিল।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply