ধর্ষণে বাধা দেয়ায় শাশুড়ি রহিমা বেগম লিপি (৫০) কে হত্যার দায়ে ৩ আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ২বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের নববধূ লাবনী বেগমকে তার শাশুড়ি ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের মনছের আলির ছেলে মো. সাইদুল ইসলাম (২৬), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. জাহিদ (২৬), শহীদ মোল্লার ছেলে মো. কুদ্দুস (২৬)।
খালাস হওয়া আসামি হলেন- মহাদেবপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৭)। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩জন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলায় অভিযুক্ত একজন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
আদালতের সূত্র জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের দিনমজুর মো. লিটনের নববধূ লাবনীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে আসামিরা। এসময় লিটনের মা লিপি বেগম তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লিপি বেগমকে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. লিটন বাদী হয়ে পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি সাইদুল ও জাহিদের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ২জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কতোয়ালী থানার এসআই মো.মাসুম বিল্লাহ আদালতে সাইদুল, জাহিদ ও কুদ্দুসকে অভিযুক্ত এবং সাইফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদী ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেয়। আদালত নারাজি গ্রহণ করে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডি পরিদর্শক মো. হারুন-অর-রশিদ আবারও সাইদুল, জাহিদ ও কুদ্দুসকে অভিযুক্ত এবং সাইফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত মামলার সময় সাইফুল ইসলামকে সংযুক্ত করে চার্জগঠন করে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাড. এনামুল হক ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. শাকেরিন সুলতানা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply