কালের স্বাক্ষী বহনকারী হালতী বিলের পাশে গড়ে উঠা নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো মাধনগর ইউনিয়ন । মাধনগর রথ বাড়ী উপমহাদেশের বৃহৎ ও প্রাচীনতম। ১৮৬৭ ইং সালে পাবনার দিলালপুরের জমিদার যামিনী সুন্দরী বসাক এই রথটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। রথের মালিকানায় ছিলেন নাটোরের জমিদার শৈলবালা ও কালিদাসী। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের তিথি অনুসারে এখানে মাস ব্যাপী রথের মেলা ও পুঁজা অর্চনা হত। বীরকুৎসা ও গোয়ালকান্দির জমিদারের হাতি এসে রথ যাত্রায় অংশ নিত এবং রথ টানার কাজ করতো। এখানকার যাবতীয় খরচ পাবনার দিলালপুরের জমিদার যামিনী সুন্দরী স্টেট থেকে আসতো।
১৮৬৭ ইং সাল থেকে ১৯৪৭ ইং সাল পর্যন্ত যামিনী সুন্দরী বসাক এই ব্যায় ভার বহন করেছেন। দেশ বিভাগের পর আর কোন অনুষ্ঠান হয়নি। ২০১২ ইং সাল থেকে স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম মিলে আবারও রথের মেলা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পূঁজা অর্চনা শুরু হয়। রথের নামে বর্তমানে ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। রথটি রক্ষণাবেক্ষন, পূঁজা অর্চনা করছেন পিন্টু অধিকারী।
মাধনগর রথবাড়ী মাধনগর ইউনিয়নের পশ্চিম মাধনগর গ্রামে অবস্থিত। নলডাঙ্গা উপজেলা হইতে ভ্যান, অটো রিক্সা, মটর সাইকেল, নছিম এ চরে প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার দূরে মাধনগর রথ বাড়ী যাওয়া যায়। অথবা, নাটোর উপজেলা হতে সিএনজি নিয়েও যাওয়া যায়।
এছাড়া ঢাকা থেকেঃ রাজশাহীর/নাটোর/চাপাইনবাবগঞ্জ এর বাসে নাটোর হরিশপুর/বাসস্ট্যান্ড নামতে হবে। সেখান হতে পশ্চিমে দিকে রেল ষ্টেশন রাস্তায় উপজেলা পরিষদে সিএনজি/অটো যোগে সরাসরি মাধনগরে যাওয়া যাবে।
রাজশাহী থেকেঃ ঢাকা/সিরাজগঞ্জ/পাবনা/কুষ্টিয়া জেলার যেকোন বাসে এসে বড় হরিশপুর বাইপাসে নামতে হবে। সেখান হতে পশ্চিমে দিকে রেল ষ্টেশন রাস্তায় সিএনজি/অটো যোগে সরাসরি মাধনগরে যাওয়া যাবে।
পাবনা থেকেঃ রাজশাহীর/নাটোর/চাপাইনবাবগঞ্জ এর বাসে নাটোর হরিশপুর/বাসস্ট্যান্ড নামতে হবে। সেখান হতে পশ্চিমে দিকে রেল ষ্টেশন রাস্তায় উপজেলা পরিষদে সিএনজি/অটো যোগে সরাসরি মাধনগরে যাওয়া যাবে।
বগুড়া থেকেঃ রাজশাহীর/চাপাইনবাবগঞ্জ/পাবনা/কুষ্টিয়া জেলার যেকোন বাসে এসে নাটোর বগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখান হতে পশ্চিমে দিকে রেল ষ্টেশন রাস্তায় সিএনজি/অটো যোগে সরাসরি মাধনগরে যাওয়া যাবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / কাউসার।
Leave a Reply