নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নৌকা) ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলুর (আনারস) সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ও শুক্রবার রাতে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জোনাইলের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম মাস্টার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জোনাইল পাগলা বাজারে নৌকার সমর্থকেরা মিছিল করছিল। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা শোডাউন নিয়ে পেছন দিক থেকে গিয়ে মিছিলের কয়েকজন লোককে মোটর সাইকেল দিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষে সংঘর্ষে বেধে ১৪ জন আহত হন। সংঘর্ষকালে কমপক্ষে ১১টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লক্ষীকোল বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার দুই সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যার সংঘর্ষের জের ধরে শনিবার সকালে জোনাইল বাজারে আরো দুই নৌকা সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা। এ সব সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল করিম মাষ্টার, জোনাইলের আওয়ামী লীগ কর্মী আসাদুজ্জামান, আনিসুর রহমান, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, রেজা, গুলজার হোসেন, হৃদয়, টুটুল, সেলিম, লক্ষীকোলের আব্দুল বারেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান জিন্নাহ, বনপাড়া এলাকার টাইগার মাসুদ, শাকিল, বেলাল, মাসুদ রানা, জোনাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ ও জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালসহ উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় উভয় পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক শিবলু জানান, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভাঙচুর করা ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply