হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় সূর্যগ্রহণ দেখা দিলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবাদেরকে নিয়ে নামায আদায় করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে নামাযের মধ্যে দোযখ দেখানো হয়েছে, আমি আজকের মত এমন ভীতিজনক অবস্থা আর কখনো দেখিনি।
থাকার ঘরে নামায পড়া:
হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের থাকার ঘরেও নামায পড়বে। এটাকে কবর বানাবে না।
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হলে কিছু দূরে গমন করা বৈধ:
হাদীস: হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার হযরত নবী করীম (সাঃ) হযরত ফাতিমা (রা) এর ঘরে উপস্থিত হলেন, তিনি ঘরে এসে হযরত আলী (রা)-কে দেখতে না পেয়ে হযরত ফাতিমা (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন।
উত্তরে হযরত ফাতিমা (রা) বললেন, আমার সঙ্গে পরস্পর কিছু কথার কাটাকাটি হয়েছে, তাই তিনি রাগ হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছেন।তিনি আজ আমার কাছে শুয়ে আরাম করেননি। অতঃপর রাসূলেপাক (সাঃ) এক ব্যক্তিকে বললেন, দেখতো সে কোথায় আছে? তখন সে ব্যক্তি খুজেঁ এসে বলল, তিনি মসজিদে শুয়ে আছেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে মসজিদে এসে দেখলেন, হযরত আলী (রা) মসজিদে কাদ হয়ে শুয়ে আছেন। তাঁর চাদরখানা মাটিতে পড়ে যাওয়ার শরীরের মাটি লেগে গিয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার এ অবস্থা দেখে শরীর থেকে মাটি মুছতে বললেন, হে আবু তোরার উঠ, হে আবু তোরাব উঠ! রাসূলেপাক (সাঃ) তাকে ঐ অবস্থায় দেখে স্নেহের সাথে এরূপ সান্ত্বনা করলেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি ঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply