হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আবুল ইয়ামার নামক এক ব্যক্তি এক বেগানা মহিলাকে চুমু দিলেন। এতে তার মনের মধ্যে ভয় ঢুকে গেল, আমি তো বড় ধরণের অপরাধ করে ফেলেছি।
তাই সে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে এসে উপস্থিত হয়ে সব কিছু খুলে বললেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনের আয়াদ অবর্তীণ করলেন। বলা হলো- ‘‘দিনের দুপ্রান্তে নামায আদায় কর এবং রাতের কিছু অংশেও নামায আদায় কর।’’
যেহেতু মানুষের নেক-আমলসমূহ তার গুনাহ ও অপরাধকে মিটিয়ে দেয়। তা শুনে উক্ত সাহাবী আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এ আদেশ কি কেবল আমার জন্য না সকলের জন্য। তখন নবী করীম (সাঃ) বললেন, এ নির্দেশ আমার উম্মতের সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
ভাল আমল :
হাদীস: হযরত আবু আমর আশ শায়বানী (র) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে প্রশ্ন করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মহান আল্লাহর কাছে কোন আমল সবচেয়ে উত্তম।
উত্তরে তিনি বললেন, যথা সময় নামায আদায় করা। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কোন আমল উত্তম। উত্তরে তিনি বললেন-পিতামাতা প্রতি সৎ ব্যবহার করা।
তারপর তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, এরপর কোন আমল উত্তম। নবী করীম (সাঃ) উত্তর করলেন আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার জন্য আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা) বলেন, রাসূলেপাক (সাঃ) আমাকে এ কথাগুলো বলেছেন। আমি যদি আরো কোন অতিরিক্ত প্রশ্ন করতাম তা হলে তিনি আমাকে আরো অনেক কথা বলতেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি : / শাকিল আহমেদ মোহন
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply