সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদর উপজেলার আংশিক) আসনটিতে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে আসছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ নাসিম। এই অঞ্চলটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। জাতীয় সংসদের ১০টি নির্বাচনের মধ্যে একটিতে অংশ নেয়নি আওয়ামী লীগ। অন্য ৯টিতেই বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। তবে এবার বিজয় ছিনিয়ে নিতে ভিন্ন পথে হাঁটছে বিএনপি।
এই আসনে কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপাকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। কনকচাঁপার জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে চায় বিএনপি।
এই আসনে কনকচাঁপা ছাড়াও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদারকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। লড়তে হবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বিরুদ্ধে।
কাজীপুর উপজেলার ১২টি ও সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৭২৪ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫২ জন।
১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমির হোসেন পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ৬২১ ভোট। মোহাম্মদ নাসিম সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবদুল মজিদকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিলের কাছেও বিপুল ভোটে পরাজিত হন বিএনপির প্রার্থী আবদুল মজিদ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি এবারও দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন। গত সোমবার দুপুরে মোহাম্মদ নাসিমের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহিদুল হাসান সিদ্দিকী।
উপজেলা বিএনপির দুজন নেতা বলেন, এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় অধরা আসনটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply