ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ পাঁচ ম্যাচের। প্রথম তিন ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি নিউজিল্যান্ড। জয়ের ব্যবধানগুলো একবার দেখুন—৮ উইকেট, ৯০ রান ও ৭ উইকেট। চতুর্থ ম্যাচে এসে পাশার দান উল্টে দিল নিউজিল্যান্ড। ভারত ৯২ রানে অলআউট। এই ম্যাচের ফল না বললেও চলে। আজ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচেও ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে প্রায় ধরে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। ১১৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট নেই। কিন্তু আম্বাতি রাইড়ুর ৯০ আর শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ২২ বলে ৪৫ ভারতকে এনে দিয়েছে ২৫২ রানের লড়াকু স্কোর।
বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে ভারতের টপ অর্ডার যে কিছুটা ভুগছে সে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ১৭ রান তুলতেই প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে ভারত। ফিরেছেন রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান ও কোহলির বিকল্প হিসেবে দলে সুযোগ পাওয়া শুভমান গিল। চারে নামা রাইড়ু ৯০ রান করে আউট হলেন ৪৪তম ওভারে। আর তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি না পাওয়ার বিষয়টি। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের পর এই প্রথম এমন সেঞ্চুরি-খরা গেল ভারতের ব্যাটসম্যানদের।
সেটি রোহিত শর্মার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে তাকালেই পরিষ্কার। আজ মাত্র ২ রানেই ম্যাট হেনরির শিকার হন ভারতের এই ‘হিটম্যান’। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে এ পর্যন্ত টানা ১০টি সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টের প্রতিটিতে অন্তত একটি হলেও সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। যা ওয়ানডেতে রেকর্ড। রোহিতের এই রেকর্ডযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়ল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে। এর আগে টানা ছয় সিরিজ/টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি করেছেন বিরাট কোহলি। টানা ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সেঞ্চুরি রয়েছে কোহলির সঙ্গে হাশিম আমলারও।
রাইড়ু সেঞ্চুরি না পাওয়ার সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ একটি রেকর্ডও গড়েছেন। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ‘নার্ভাস নাইন্টিজ’-এ আউট হন তিনি। তবে রাইড়ু মিডলঅর্ডারে হাল না ধরলে বড় বিপর্যয়েই পড়ত ভারত। প্রথম ‘পাওয়ার প্লে’-তেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে সফরকারী দল। স্কোরবোর্ডে তখন উঠেছে মাত্র ১৮ রান। ওয়ানডেতে ভারত এর আগে সর্বশেষ প্রথম পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৪ সালে।
ভারত শেষ দিকে রানের গতি বাড়াতে পেরেছে পান্ডিয়ার ব্যাটে ভর করে। ৫ ছক্কা ও ২ চারে বিস্ফোরক ইনিংসটি খেলেন তিনি। এর মধ্যে কিউই লেগি টড অ্যাস্টলকে এক ওভারেই মেরেছেন টানা তিন ছক্কা। ৪৯তম ওভারে পান্ডিয়াকে তুলে নেন জিমি নিশাম। শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিলে অলআউট হয় ভারত।
অন্যান্য ম্যাচগুলোর চেয়ে এই ম্যাচটিতে জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও উঁকি দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডের দুয়ারে। শেষ পর্যন্ত কি তাঁরা ৩-২ করতে পারবে? সেজন্যে অপেক্ষা করতে হবে আর কিছুক্ষণ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply