বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) একটি গবেষণা প্রতিবেদন গত বুধবার দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।সেখানে বলা হয় বাংলাদেশে পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে নিরাপদ পাস্তুরিত দুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
এরপরই বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ নিরাপদ কি না- তা বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও বিএসটিআই-এর মহাপরিচালককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছে আদালত।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ) ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
পরে তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠনের পর বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও বিএসটিআইটি মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া আইসিডিডিআর,বির প্রকাশিত প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।”
নিরাপদ পাস্তুরিত দুধের নিশ্চয়তা দিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছে হাইকোর্ট।
খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএসটিআই মহাপরিচালক, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ও পুলিশ প্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, “পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে ক্রমবৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের উন্নতি করতে বলা হয়েছে সবিধানে। একইভাবে জনগণের পুষ্টি নিশ্চিত করে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।
“কিন্তু আইসিডিডিআর ,বির প্রতিবেদন অনুযায়ী বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধে ভেজাল ধরা পরছে। জনস্বাস্থ্যের এটা মারাত্মক ঝুঁকি। তার মানে হচ্ছে জনস্বাস্থ্য নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা রয়েছে।
পাস্তুরিত দুধের ভেজাল নিয়ে এতদিন কোনো প্রশ্ন ওঠে নি ভোক্তাদের মনে। ভোক্তারা তাই উপকারী ভেবেই খেয়ে এসেছেন এতদিন। তবে এবার থেকে অন্যান্য ভেজাল খাবারের মত এটিও সংশয় সৃষ্টি করলো সাধারন জনগনের মনে।
হাইকোর্টের নির্দেশে করা তদন্তে ক্ষতিকারক কিছু পাওয়া গেলে সরকার কীভাবে এর মোকাবেলা করে সেটিই দেখবার বিষয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply