হাদীস: হযরত আবু ওয়াইদ (রা) বলেন, হযরত আবু মূসা আশআরী (রা) পেশাব করার ব্যাপারে খুব কঠোরতা অবলম্বন করতেন এবং তিনি বলতেন, বনী ইসরাইলদের উপর হুকুম ছিল যদি কারো কাপড়ে পেশাব লাগতো তা হলে উক্ত কাপড় কেটে ফেলা হতো।
কাপড়ের রক্ত ধৌত করে নামায পড়া:
হাদীস: হযরত আসমা (রা) বলেন, একবার এক মহিলা রাসূলেপাক (সাঃ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললো হুযূর! আপনার নির্দেশ কি? আমাদের মধ্যে কোন মহিলার যদি হায়েয দেখা দেয়, তারপর তার হায়েযের রক্ত যদি তার কাপড়ে লেগে যায়।
তখন সে কি করবে? উত্তরে রাসূলেপাক (সাঃ) বললেন প্রথমে তুমি উহা কাপড় থেকে ঘষে তুলে ফেলবে। তারপর পানিতে ভিজায়ে ভালভাবে ধৌত করবে। তারপর ঐ কাপড় দ্বারা তুমি নামায আদায় করবে।
এস্তেহাযা অবস্থায় নামায পড়া যায়:
হাদীস: হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবি হোবাইশ (রা) একবার রাসূলেপাক (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন। ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার ইস্তেহাযার রোগ আছে।
যার কারণে আমি কখনো পবিত্র থাকতে পারি না। তাই অপবিত্রতার কারণে আমি কি নামায পড়া ছেড়ে দিব? উত্তরে রাসূলেপাক (সাঃ) বললেন না। তোমার এ রক্ততো রগ থেকে এসে থাকে।উহা হায়েজের রক্ত নহে।
সুতরাং তোমার কর্তব্য হবে যথন তোমার হায়েজ দেখা দেয়, তখন তুমি নামায ছেড়ে দিবে আর যখন তোমার হায়েজের দিনগুলো শেষ হয়ে যাবে। তখন তুমি হায়েজের রক্তগুলো ধৌত করে নিবে। তারপর নামায আদায় করবে।
হুযূর পাক (সাঃ) তাকে আরো বলেছেন, তুমি প্রত্যেক নামাজের পূর্বে অযু করে নিবে। এমননিভাবে নামায আদায় করবে। পুনরায় তোমার হায়েজ দেখা দেয়া পর্যন্ত।
মনি ধৌত করার পর কাপড় পাক হয়:
হাদীস: হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী করীম (সাঃ) এর কাপড় থেকে ‘মনি’ ধুয়ে দিতাম। তারপর রাসূলেপাক (সাঃ) উক্ত কাপড় পরিধান করে যখন নামাযে তাশরীফ নিতেন তখন তাঁর কাপড়ে পানির দাগ দেখা যেত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply