সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় মৌসুম শুরু হতে না হতেই কুল লোভনীয় করে বাজারজাত করতে বাগানেই ইথিলিন অ্যাসিড ব্যবহার এবং তা সংগ্রহ করে শ্যাম্পু দিয়ে চকচকে করা হচ্ছে। ফলে কুলের গুণগত মান তো থাকছেই না বরং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে পড়ছে। কৃষির অন্যতম অর্থনৈতিক জোন হিসেবে সাতক্ষীরার খ্যাতি ধরে রাখতে প্রশাসনিক তদারকির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, তালায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে আম ও কুলের চাষ। অনেক ক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে মৎস্যঘেরের বেড়িতে এ দুই ফলের চাষ হচ্ছে। অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অভ্যন্তরীণ রুটের ব্যবসায়ীরা ফল পাড়ার সাথে সাথে আবারো গাছ ক্রয় করে থাকেন। এরপর গাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ফলন পেতে রাসায়নিক দ্রব্যের সাথে বিভিন্ন পদের হরমোন ব্যবহার করে। যা মানবদেহের ক্যান্সার থেকে শুরু করে লিভার, কিডনি, চর্ম এমনকি মানসিকবিকাশ বাধাগ্রস্ত করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুল পাকার মোক্ষম সময় শুরু না হলেও কুল পাড়তে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা অপরিপক্ব কুলে ইথিলিন এসিডের সংক্রমণ ঘটিয়ে একসাথেই বাগানের কুল পাকিয়ে বাজারজাত করছেন। প্রাকৃতিকভাবে কুল পাকার সঠিক সময় গাছের দু’-একটি কুল পাকলে তা থেকে ইথিলিন অ্যাসিড পুরো গাছে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কুল পাকতে একটু সময় লাগে। তাই ব্যবসায়ীরা একবারেই কুল বাজারজাত করতে ইথিলিন এসিড ব্যবহার করছেন। গাছ থেকে কুল সংগ্রহ করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে প্যাকেট করা হচ্ছে। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের তালা উপজেলার ভৈরবনগর নামক স্থানে এমনটি দেখা মেলে। যেখানে আড়তেই ব্যবসায়ীরা প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে কুল ক্রয় করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য না রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে তা প্যাকেট করছে।
এ সময় তাদের কাছে শ্যাম্পু দিয়ে কেন ধোয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তারা জানান, সবাই ধুচ্ছে তাই আমরাও ধুচ্ছি। এটা অপরাধ জানালেও তারা বলেন, আমাদের প্রশাসনের সবাইকে ম্যানেজ করা, কিছুই হবে না।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply