সরকার দেশে ফুটবলের উন্নয়নে সম্ভাব্য সবকিছু করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও আগামী দিনে ফুটবলে ভাল করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ফুটবল খেলার আরো উন্নতি করতে প্রশিক্ষণসহ যা যা করণীয় সেটা আমরা করবো। এটুকু আমি আপনাদের কথা দিতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
ফিলিস্তিন ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে তাজিকিস্তানকে পরাজিত করে পঞ্চম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ফুটবলের শিরোপা জয় করে নেয়। নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য ড্র ছিল।
মাঠে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে দলগত ট্রফি এবং ব্যক্তিগত পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে উত্তেজনাপূর্ণ খেলা উপভোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন এবং রানার্স আপ তাজিকিস্তান দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেলাধূলায় সবসময় আন্তরিক ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পারিবারিকভাবেই তার পরিবার একটি ফুটবল পরিবার বলে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার স্মৃতি স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় এই গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট সফলভাবে শেষ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা সব সময় মনে করি ফুটবল হচ্ছে জনপ্রিয় একটি খেলা। আমাদের হাটে, মাঠে, ঘাটের সব জায়গায় এই খেলা হয়। কাজেই এই খেলার আরো উন্নতি হোক সেটাই আমরা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের সাম্প্রতিক সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘তারা ইতোমধ্যেই সাফ অনুর্ধ্ব ১৬ এবং ১৮ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি আশা করি আমাদের ছেলেরাও পিছিয়ে থাকবে না। তারাও ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে এবং এগিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এই বৃষ্টির মধ্যেও যে দর্শকরা এসেছেন, উপস্থিত হয়েছেন এবং যারা টেলিভিশনে দেখেছেন সবাইকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খেলাধুলা এগিয়ে যাক সেটাই আমরা চাই।‘ প্রধানমন্ত্রী টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সকল বিদেশি দলকেও আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী সালাহউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি সালাম মুর্শেদী, সহ সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদসহ টুর্নামেন্টের স্পনসর এবং ফুটবল ফেডারেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ছয় জাতির এই টুনার্মেন্ট গত ১ অক্টোবর বাংলাদেশ এবং লাওসের খেলার মধ্যদিয়ে মাঠে গড়ায়। টুর্নামেন্টের অন্য দুটি দল ছিল নেপাল ও ফিলিপাইন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply