নুসরাতের ঘটনার রেস কাটতে না কাটতে নতুন করে ঘটনার জন্ম দিলেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার লালসার শিকার হয়ে এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম (৫৫)। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই শিশু ছাত্রী। বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম এমরানের কাছে জবানবন্দি দেন আবদুল করিম। পরে আবদুল করিমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) গোলাম জিলানী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেন। পরে আবদুল করিমের জবানবন্দি নেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম এমরান। জবানবন্দিতে একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম। ধর্ষণে ওই শিশুছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা বলে স্বীকার করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জানাজার পর সন্ধ্যা ৬টায় সোনাগাজী আল হেলাল একাডেমির পাশে সামাজিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় নুসরাতের মরদেহ শায়িত করা হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply