পঞ্চগড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার ভিডিও প্রকাশের অভিযোগ পাওয়া গেছে চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযুক্ত ফজলুল হক সাগর (৩৫) জেলার মিঠাপুকুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পঞ্চগড় গণপূর্ত বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যকরী কমিটির সদস্য।
বিষয়টি জানার পর মেয়ের মা ১৭ মে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই পুলিশ অভিযুক্ত সাগর ও ঘটনায় সহযোগিতা করায় মেয়েটির বন্ধু জাফরুল ইসলাম অন্তর (১৬) কে আটক করেন। ১৭ তারিখ আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাগরকে জেল হাজতে ও অন্তর অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় রাজশাহী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে মেয়েটিকে তার বন্ধু অন্তরের সহযোগিতায় সাগর পঞ্চগড় ডিসি পার্ক এলাকার পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত ঘরে জোর করে নিয়ে যায়। সেখানে সাগর মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন। এর পর থেকে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটির সাথে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে সাগর।
এ ঘটনায় মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে মেয়েটি আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকলেও থেমে থাকেন নি সাগর। এক পর্যায়ে মেয়েটি সাগরের সাথে দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সাগর পূর্বে ধারণকৃত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলার পর থেকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়ায় মেয়ে ও মেয়ের মা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানেন না মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) জাহেদুল ইসলাম। তিনি জানান, এরকম কোন অভিযোগ তিনি পান নি। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে শুনানির দিন এখনো ধার্য হয় নি বলেন তিনি। গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিবুল ইসলাম জানান, সাগরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবরে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে সাগরের বিরুদ্ধে মামলে হওয়া মঙ্গলবার (২১ মে) জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply