নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের শাহ্আলী থানা যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি “সাজ্জাদুল মিরাজ” দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন। ১৯৬৫ সালের এই দিনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচির মধ্যে আছেÑ আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল।
রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে মাত্র ২২ বছর বয়সে তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি বগুড়া জেলার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক রহমান তার মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসেবে সারা দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও মায়ের পাশাপাশি তারেক রহমানও দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান। মূলত এ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতির প্রথম সারিতে তারেক রহমানের সক্রিয় আগমন ঘটে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০০২ সালে তারেক রহমানকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের
দায়িত্ব দেয়া হয়। এ দায়িত্ব পেয়ে জিয়াউর রহমানের ১৯ দফার আলোকে তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। এর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে বিএনপির তরুণ নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন তারেক রহমান। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চের কাউন্সিলেও তাকে একই পদে রাখা হয়।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
এক-এগারোর সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ প্রথমবারের মতো কারাগারে যান তারেক রহমান। ওয়ান-ইলেভেনের সেই সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার তাকে গ্রেফতারের পর নির্মম নির্যাতন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। সেই থেকে সপরিবারে তিনি সেখানেই বাস করছেন। তার সাথে আছেন সহধর্মিণী ডা: জোবায়দা রহমান ঝুনু, একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান।
জনাব তারেক রহমান ও বিএনপির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থতা কামনা চেয়ে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন। সাথে দলের এই ক্লান্তিলগ্নে বিপদগ্রস্ত নেতাকর্মীদের বিপদমুক্ত ও সকলের সু-সাস্থ কামনা চেয়ে দোয়া করেছেন।
উক্ত মিলাদ মাহফিলে শাহ্আলী থানা যুবদল নেতাকর্মী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply