হঠাৎ করে আর্থিক দৈনদশা দেখা দেয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে স্থবিরতা স্পষ্ট হয়েছে। অর্থের অভাবে থমকে গেছে দলটির রাজপথের বিভিন্ন কর্মসূচি। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিএনপি এলিটদের রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিতি পেলেও বিরোধী দলে পদার্পণ করার পর থেকে বিএনপির রাজনৈতিক দৈনদশা স্পষ্ট হয়েছে। বলা হচ্ছে, অর্থের অভাবে দলটি কঠোর আন্দোলন জমাতে পারছে না।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পরিণতি বিবেচনা করে আখের গোছাতে দলকে প্রাধান্য না দিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন দলটির বিত্তশালী নেতারা। যার কারণে বিএনপির কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের সমাগম কম দেখা যাচ্ছে। আর্থিক সুবিধা করতে না পারায় দলটির নেতা-কর্মীরা এখন দল বিমুখ হয়ে পড়ছেন এবং যার প্রভাব পড়ছে প্রতিটি কর্মসূচিতে।
বিএনপি নেতারা দলের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ বিবেচনা করেই দলে বিনিয়োগ করা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে মনে করছে বিএনপির সংস্কারপন্থী একজন নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা বলেন, বেগম জিয়ার কারামুক্তি সহজ নয় এবং তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবে না বলেই মনে-প্রাণে বিশ্বাস করছে দলটির বিত্তশালী নেতারা। বিশেষ করে মির্জা আব্বাস, মোসাদ্দেক আলী ফালু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, তাবিথ আউয়াল, মোর্শেদ খানের মতো ব্যবসায়ী নেতারাও এ ব্যাপারে নিশ্চিত। তাই তাদের দলের কর্মসূচিতেও কম দেখা যায়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেই বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন এসব নেতা। দল থেকে পাওনা আদায় করেই গোপনেই বিদেশে বিনিয়োগ করে ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করেছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিরোধী দলে থাকায় দলটির এলিটরা এখন গরীব সেজেছেন। অথচ দল ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তাদের বিলাসবহুল জীবন যাপন দেখে দেশের মানুষ অবাকই হতো। সেই নেতারা এখন দলের দুর্দিনে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। দলকে বিপদে ফেলে বিদেশে ব্যবসা করছেন তারা। এসব নেতাদের কারণে বিএনপির কর্মসূচিগুলো সফল হয় না, দলীয় অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীরা কম উপস্থিত হন। বিএনপি নেতারা কৃপণতা না ছাড়লে এবং দলের প্রতি অবিচার বন্ধ না করলে দলের ভঙ্গুর দশা দূর হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply