চার দিনব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক মেগা ইভেন্ট ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’ আগামীকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) খাতে সম্ভাবনার দুয়ার খোলার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবন ও অর্জন তুলে ধরা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধন করবেন।
কয়েকটি আইটি সংগঠনের সহযোগিতায় আইসিটি বিভাগ ও বেসিস ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’-এর আয়োজন করেছে, যার প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘রেডি ফর টুমরো’। গত ৯ বছরেরও বেশি সময়ে আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশের যে অর্জন তা নিয়ে বাংলাদেশ আগামীর জন্য প্রস্তুত বলে এবছরের প্রতিপাদ্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি ডিভিশন বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনসহ কিছু মেগা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ উদযাপনে আইসিটি বিভাগ আইসিটির একটি মেগা প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’-এর আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে দেশের জনগণ গুরুত্বের সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ করায় আমি দেশবাসীকে অভিনন্দন জাগাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৯ সালে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর যাত্রা শুরু করি।
জনগণ এই দর্শনকে স্বাগত জানায় এবং দেশে দ্রুত সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে সংযোগ, সার্ভিস ডেলিভারি, যোগাযোগ, ব্যাংক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য অনেক আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। এই প্রচেষ্টা আইসিটি খাতে বিশ্বায়ানে আমাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
তিনি বলেন, ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে আইসিটির প্রভাবে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের প্রচেষ্টায় সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে সহজ হবে। এ ব্যাপারে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আইসিটি বিভাগের প্রচেষ্টা ও সংযুক্তিকে আমি সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আমি আশা করি এসব প্রচেষ্টা ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য আইসিটি খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান, রফতানির মাধ্যমে ৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ উন্নয়নে আমাদের সাহায্য করবে।
এই প্রদর্শনী বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি দেশের মানুষের উদ্ভাবন, ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগ, উৎপাদন ও দেশের মানুষকে সেবা প্রদানে সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। জ্ঞান বিনিময় ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই আয়োজন নতুন চিন্তা-ভাবনার উদ্ভব ও সমাধান এবং ব্যবসা সৃষ্টির সুযোগ করে দেবে বলেও তারা বাণীতে উল্লেখ করেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / কাউসার।
Leave a Reply