বাবা থেকেও নেই। মা একজন ভিক্ষুক। এক রকম কূল কিনারাহীন ১৭ বছর বয়সী কিশোরী। তারই গ্রামের একই বাড়ির ৪ যুবকের হাতে ধর্ষিত কিশোরীটি। ফলস্বরূপ আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
অসুস্থ হবার পর মা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেরিয়ে আসে অন্তঃসত্ত্বার খবর।
কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে একই বাড়ির ৪ যুবকের নাম। গ্রাম্যসালিশি করে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ওই ৪ যুবকের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। সে টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে।
এখন খবর হচ্ছে, যে চারটি ছেলে কিশোরীটির সর্বনাশ করেছে, তাদেরই একজনের সাথে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর সেই বিয়ে নিয়ে চলছে গ্রাম-মাতবরদের তোড়জোড়। তবে বিয়ের জন্য কিশোরীটিকে ওই চার ধর্ষকের একজনকে পছন্দ করে বেছে নিতে হবে।
জানা গেছে, অর্থদণ্ডের টাকা দিয়েই শনিবার (১১ মে) ওই কিশোরীর পছন্দমতো পাত্রের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করছেন এলাকার মাতবররা।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ি।
কিশোরীর দেয়া তথ্য মতে, একই বাড়ির ইসমাইলের ছেলে রাব্বি (১৯), বিল্লালের ছেলে মেরাজ (২২), রফিকের ছেলে ইসমাইল (২১) ও সিরাজের ছেলে আরফিন আমিনুল (২০) দলবেঁধে তাকে ধর্ষণ করেছে।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম বলেন, অর্থদণ্ডের টাকাগুলো ব্যাংকে জমা আছে। আমরা সমাজের সম্মান রক্ষার্থে বিয়ের ব্যবস্থা করছি। সকল প্রস্তুতি শেষ। শনিবার বিয়ে দিবো। তবে পাত্র এখনও ঠিক হয়নি। চার ধর্ষকের মধ্যে যাকে ওই কিশোরী পছন্দ করবে, তার সঙ্গেই বিয়ে দেয়া হবে।
এলাকার মাতবর মোস্তফা কামাল জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সালিশি করা হয়েছে। অভিযুক্ত চার যুবককে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, আমি ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জেনেছি। তবে পরে আর বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, এমন ঘটনার কোন অভিযোগ আসেনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply