পেলে সেদিন বলেছিলেন মেসি শুধু বাঁ পায়েই খেলতে পারেন। কিন্তু মেসি যে অন্য ধাতুর গড়া মানুষ। জানেন কীভাবে গোল করতে হয়। কীভাবে করাতে হয়। শনিবার রাতে পেলের কথার জবাবটা যে বাঁ পায়েই দিলেন মেসি! ম্যাচে দুর্দান্ত দুইটা হেড করেছেন। একটা হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আরেকটা এসপানিওলের গোলরক্ষক আটকে দেন। মেসির ডান পায়ের নেওয়া শটটিও আটকে দেন দিয়েগো লোপেজ।
নিজে দুই গোল করেছেন। বাকি দুই গোলেও রেখেছেন অবদান। এর চেয়ে ভালো জবাব আর কি হতে পারে?
ম্যাচের ১৭ মিনিটেই ২৭ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি কিক থেকে যে গোল মেসি করলেন…এমন গোল তো মেসি হরহামেশাই করেন। এই ম্যাচেই দ্বিতীয়ার্ধে ৬৫তম মিনিটে যে আরও একটা করে দেখালেন। লা লিগায় এসপানিওলের বিপক্ষে তিনটা হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি। একই দলের বিপক্ষে নামের পাশে আরেকটা হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তখন উঁকি দিচ্ছিল বৈকি!
মেসির প্রথম গোলের পরই গোল পেতে পারতেন লুইস সুয়ারেজ। পারলেন না নিজের ভুলেই। গোলপোস্টের কাছ থেকে নেওয়া সুয়ারেজের দুর্বল শট আটকাতে কোনো সমস্যা হয়নি এসপানিওল গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজের। মেসির এক গোলে যেন পোষাচ্ছিল না স্প্যানিশ জায়ান্টদের। স্বাগতিকদের গোলমুখে একের পর এক আক্রমণ আর মেসি-সুয়ারেজ-ডেম্বেলেদের শরীরী ভাষায় সেটাই প্রকাশ পাচ্ছিল।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটে ফের বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন গোলমেশিনের জাদু। মেসি ডি বক্সের সামান্য বাইরে পড়ে গিয়েও বলের নিয়ন্ত্রণ ছাড়লেন না। তাঁকে ঘিরে রাখা এসপানিওলের রক্ষণের খেলোয়াড়দের এক এক করে ফাঁকি দিলেন। ততক্ষণে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গেছেন ডেম্বেলে। সেটা যে মেসির নজর এড়ায়নি ভালোই জানা ছিল ফরাসি এই তরুণের। মেসির রক্ষণচেরা দুর্দান্ত এক পাস থেকে পাওয়া বল অসাধারণ গোল করেন ডেম্বেলে।
মিনিট দশেক পর আবারও গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন সুয়ারেজ। মেসির কাছ থেকে পাওয়া বলে ঠিকঠাক পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকার। ৩৮তম মিনিটে গোলবঞ্চিত হয় ভালভার্দের শিষ্যরা। প্রথমে রাকিটিচের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে ডান পায়ে শট নেন মেসি। সেটা আটকে দেন লোপেজ। প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পান সুয়ারেজ। ডেম্বেলের কাছ থেকে পাওয়া বলে গোল করেন সুয়ারেজ।
পেলের কথার জবাব দিতেই কী না কে জানে, মেসি কেবল গোল করেই ক্ষান্ত হলেন না, গোল করালেনও। এবার কী বলবেন পেলে?
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply