লা লিগার প্রথম এল ক্ল্যাসিকোতে মুখোমুখি হয় দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। খেলার প্রথমার্ধে কেউই কারও জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি; কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলার শুরু হওয়ার পর রিয়ালকে পেছনে ফেলেন মেসির বার্সেলোনা। ১০ মিনিটের ব্যবধানে মাদ্রিদের জালে ২ বার বল জড়িয়ে দিয়েছে বার্সা। যার প্রথমটি এসেছে লুইস সুয়ারেজের পা থেকে। অন্যটি এসেছে বার্সার ত্রাণকর্তা মেসির পেনাল্টি কিকের মাধ্যমে।
আর খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত সময়ের ৯৩ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এক পাস থেকে বল পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদের জালে তৃতীয় বারের মত বল জালে জড়ান আলেক্সি ভিদাল।
খেলার ৫৪ মিনিটে রিয়ালের জালে বল জড়াতে সক্ষম হন লুইস সুয়ারেজ। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। খেলার ৬৩ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ইচ্ছে করে হাত দিয়ে বল ঠেকানোর কারণে দানি কারবাহলকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি। একই সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশিও বাজান তিনি। স্পট কিক থেকে রিয়ালে জালে বল জড়ান মেসি।
এর আগে প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনার কেউ কারও জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি। মুহুর্মুহু আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে দুর্দান্ত উপভোগ্য হলেও ম্যাচের আসল প্রাণ গোলের দেখাই পেলো না কেউ। রোনালদো একটি গোল করলেও রেফারি অফ সাইডের অজুহাতে সেই গোল বাতিল করে দেন।
প্রথমার্ধে বল পজেশনে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক রিয়াল মাদ্রিদ। ৫২ ভাগ বল ছিল তাদের দখলে। ৪৮ ভাগ ছিল বার্সার ভাগে। গোল পোস্ট লক্ষ্যে শটও নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ বেশি, মোট ৯টি। কিন্তু একটিও বার্সার জাল খুঁজে পেলো না।
অন্যদিকে বার্সেলোনা শট নিয়েছিল মোট ৪টি। এর মধ্যে দুটি ছিল নিশ্চিত গোল হওয়ার মতো। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দক্ষতায় দুই যাত্রায় বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / ক.আ।
Leave a Reply