যুগের সাথে সাথে মেয়েদের রূপচর্চায় পরিবর্তন এসেছে৷ তবে ত্বকের যত্নে এখনও অনেকেরই তেলের মতো প্রাকৃতিক উপাদানই পছন্দ৷ জেনে নিন নারী, পুরুষ সকলেরই রূপচর্চায় বিভিন্ন ধরণের তেলের ব্যবহারের কথা।
অ্যালমন্ড বা বাদাম তেলঃ
বাদাম তেলে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে অলিক অ্যাসিড, যা ত্বকের সতেজ থাকা দীর্ঘায়িত করে৷ আর এ কারণেই প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন দেশে রূপচর্চায় বাদাম তেল ব্যবহার করা হয় আসছে৷ বাদাম তেলের ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেও সহায়তা করে৷
অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেলঃ
শিশুর গায়ে অলিভ অয়েল মেখে তাকে রোদে শুইয়ে রাখার দৃশ্যের কথা মনে হলেই বোঝা যায় জলপাইয়ের তেল কতটা উপকারী৷ জলপাইয়ের তেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে চকচকে করে তোলে৷ তাছাড়া মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব জায়গায়ই এই তেল ব্যবহার করা যায়৷ জলপাইয়ের তেলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘ই’, যা ত্বকের কোষের তারুণ্য ধরে রাখায় বিশেষ ভূমিকা রাখে৷
সূর্যমুখী তেলঃ
সূর্যমূখী তেল অনেকে লোশন হিসেবেও ব্যবহার করেন৷ চুলের যত্নে ও তেলতেলে ত্বকের জন্যও উপকারী সূ্যমূখী তেল৷সূর্যমূখী তেলের ভিটামিন ‘ই’ ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে৷ তাছাড়া ত্বকের পুরনো কোষ পরিষ্কার করে এবং নতুন কোষ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে৷
ওমেগা-৩ তেলঃ
সুন্দরী তারকারাও কিন্তু তাঁদের রূপচর্চর তেল ব্যবহার করে থাকেন৷ হলিউডের তারকা গুয়েনেথ পাল্ট্রো তাঁর রূপের রহস্য জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘আমার ত্বক চর্চায় ওমেগা-৩ তেলের স্থান সবচেয়ে ওপরে”।
নারকেল তেলঃ
বাঙালিদের কাছে নারকেল তেলের গুণের কথা বলা অনেকটা মায়ের কাছে মামার বাড়ির গল্পের মতো৷ তবে গত কয়েক বছর থেকে জার্মানিতে কিন্তু স্বাস্থ্যকর রান্না এবং সুন্দর ত্বক, মসৃণ চুল ও ঝকঝকে দাঁতের যত্নে নারকেল তেলের ব্যবহার বেড়ে গেছে৷ জার্মানির অরগ্যানিক ফেয়ার পোর্টাল কসমস-এর বিউটি এক্সপার্টের পরামর্শ , কুসুম গরম নারকেল তেলে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেললেই বুঝবেন চুল কতটা মসৃণ, ঝরঝরে ও সতেজ৷
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ /- সাদিয়া শারমিন।
Leave a Reply