রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের যা যা করার করে যাব, করছি। কিন্তু বিশ্ব নেতাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, এ সমস্যা মোকাবিলায় তারা যেন আরও উদ্যোগী হয়। কারণ, এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সবার। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পালন করতে যেন দেশটিকে বাধ্য করা হয়। মিয়ানমার এ পর্যন্ত যত প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ ও বিশ্বকে দিয়েছে তার প্রমাণ দিক। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রোহিঙ্গা ইস্যুর সবশেষ পরি
স্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুদের আমরা বলেছি, মিয়ানমার বলছে, তারা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। তাদের লোক রোহিঙ্গারা তাদের বিশ্বাস করে না। মিয়ানমার নিজের লোকদের সেসব প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক তাদের বাস্ত্যুচ্যূত করেছে।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জাতিগত এই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর বর্বরোচিত দমনপীড়ন চালালে তারা প্রাণ রক্ষার্থে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু এরপর চুক্তিটি বাস্তবায়নে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।
প্রত্যাবাসন চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ৩ হাজার ৪৫০ জনের রোহিঙ্গার একটি তালিকা ঢাকাস্থ ইউনাইটেড ন্যাশনস রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটরের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর-কে হস্তান্তর করেছে। ইতোমধ্যেই এদেরকে মিয়ানমার রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা রাখাইনে ফিরে যেতে ইচ্ছুক কিনা তা নিরূপণ করতে তালিকাটি হস্তান্তর করা হয়।
সরকার বাংলাদেশের তরফ থেকে সকল জরুরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিল। এমনকি রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সাপোর্টেরও ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ ইউএনএইচসিআর এর কাছে যে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট নাগাদ তাদের মধ্যে ৩৩৯টি পরিবারের ১ হাজার ২৭৬ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২২ আগস্ট কোন রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে যায়নি। তারা মনে করে, সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সার্বিক পরিবেশ এখনো তাদের ফিরে যাবার অনুকূল নয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন।
সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন
Leave a Reply