বাগেরহাটের শরণখোলায় হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে মহারাজ হাওলাদার (৪৫) নামের আওয়ামী লীগের এক নেতার দুই পা ভেঙে দিয়েছে তার প্রতিপক্ষ। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের বাধাল গ্রামে ঠিকাদারি কাজ তদারকি শেষে ফেরার পথে হামলার শিকার হন তিনি। উপজেলার জানেরপাড় গ্রামের মৃত রশিদ হাওলাদারের ছেলে মহারাজ খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পেশায় একজন ঠিকাদার।
আহতের মেয়েজামাই মো. মাসুদ গাজী জানান, মহারাজের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত নূরু খানের ছেলে ফারুক খান ও রোকন খানদের দুই বছর ধরে উপজেলার ৪ নম্বর ধানসাগর মৌজার ২৭ বিঘা জমির ডিসিআর-সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে চরম শত্রুতা চলে আসছে। তারই সূত্র ধরে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ওই আওয়ামী লীগ নেতা বাধাল গ্রামে একটি মন্দিরের ঠিকাদারি কাজ পরিদর্শন করে ফেরার সময় প্রতিপক্ষ ১০-১২ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার দুই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ গুঁড়িয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ‘খুমেক’ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, মহারাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী প্রকৃতির এবং মামলাবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply