মাদরাসার শৌচাগারে সমকামিতায় লিপ্ত থাকার সময় হাতে নাতে ধরা পড়েছেন ওই মাদরাসার দুই জন সিনিয়র এবং একজন নবীন শিক্ষক। বরিশাল জেলার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার নজরুল একাডেমিক মাদরাসায় সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই মাদরাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ)। যদিও তিনি প্রথমে ঘটনাটি প্রকাশ করতে চাননি। পরে ঘটনাটি তুলে ধরেন অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষ মাওলানা জোবায়ের বলেন, টিফিন পিরিয়ডের সময় গণিতের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক ও ৯ম-১০ম শ্রেণির ইংরেজির নবীন শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন পরষ্পর কথা বলতে বলতে ছাত্রদের শৌচাগারে প্রবেশ করেন। শিক্ষক মিলনায়তন থেকে তাদের দুইজনকে একইসঙ্গে ছাত্রদের শৌচাগারের দিকে যেতে দেখে আরেক সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ খসরুও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা কোমলমতি শিশু খুঁজতেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন বলে পরে জানা যায়।
ওই সময় মাদরাসার বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের কাজ চলছিলো বলে শৌচাগারটি ছাত্রশূন্য ছিল। তবে কোনো একটি শ্রেণির জনৈক ছাত্র প্রস্রাব করার উদ্দেশ্যে শৌচাগারের কাছাকাছি গেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। সেই সঙ্গে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পায়। ছাত্রটি তখন শৌচাগারের পেছনের দিকে এসে লাগোয়া পেয়ারা গাছের ওপরে উঠে জানালা দিয়ে দেখতে পায় দুই শিক্ষক মিলে অপর শিক্ষককে জোরপূর্বক পায়ু সঙ্গম করছেন। পুরো ঘটনাটি ওই ছাত্র তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে।
এক পর্যায়ে শিক্ষকরা তার উপস্থিতি টের পেয়ে গেলে ছাত্রটিও দ্রুত গাছ থেকে নেমে দৌড়ে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে যায় বলে তাকে আর চিহ্নিত করতে পারেনি ওই শিক্ষকরা। কিন্তু মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিওটি ওই দিনই অন্য ছাত্রদের ফোনে এমনকি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার্থে তাদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি।
সেই সঙ্গে অভিভাবকরাও নিজ নিজ সন্তানকে আর এ প্রতিষ্ঠানে পড়াবেন না বলে হুমকি দিলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তিন শিক্ষককে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ মাওলানা জোবায়ের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply