প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভায় সরাসরি ভোট চাচ্ছেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রচার বন্ধ করার জন্য মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে নির্বাচনের জন্য সকল ধরণের প্রচার নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার ইসির কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর করা পাঠানো চিঠিতে এ সকল কথা বলা হয়েছে।
বিএনপির পাঠানো এই চিঠিতে সংবাদ মাধ্যম হতে সংগ্রহ করা প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের তথ্য সমূহ সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন চিঠি টি পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন হতে বিএনপির কাছে চাওয়া কিছু তথ্য অপর একটি চিঠিতে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন বলেন,”বিকেলে তিনি বিএনপির মহাসচিবের সই করা চিঠি ইসিতে পৌঁছে দিয়েছেন। একটি চিঠিতে ইসিকে বিএনপির দলীয় কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। অপরটিতে তফসিল ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধে উদ্যোগ নিতে এবং বিষয়টি ইসিতে অবহিত করে লেখা হয়েছে।”
বিএনপির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে,বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় খরচের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করে নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে এ ধরণের প্রচার চালান নির্বাচনী আচরণবিধি ও আইনের লঙ্ঘন। ইসিকে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রচারণা বন্ধ করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সরকার প্রধানের এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির পরিপন্থী পাশাপাশি তা আইনেরও লঙ্ঘন।
নির্বাচন কমিশনের দুজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, এখনো তারা চিঠিটি পাননি। চিঠি পড়ে তারা যা করার তাই করবেন।
চলতি বছরের শেষে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। বিএনপি চিঠিতে গত পয়লা ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর, ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সফর এবং রাজশাহী সফরে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া, সমাবেশ করা ও ভোট চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply