হিজড়াদের একটাই দাবী- টাকা দে! যেন অনেক দিন আগে থেকে সে আপনাকে চেনে এমন ভংগীতে টাকাটা চায়। অনেকেই এই বেয়াদব হিজড়াদের সাথে পেরে উঠেন না বলেই টাকা দিয়ে দেন। ৫টাকা, ১০ টাকা ২০ টাকা,৫০ টাকা। এদের আধিপত্য দিন কে দিন যেন বেড়েই চলেছে। কারো ছেলে হয়েছে কি মেয়ে জন্মেছে ব্যাস, ওদের দাবী টাকা দাও নাহলে বাচ্চা নিয়ে যাব। যেন জলুম, কারো সাধ্য আছে কি নেই তার দিকে নজর দিবে সে ধৈর্য্য হিজড়া সমাজে নেই। নিজেরাই নিজেদের রাজত্বে কেউ রাজা আবার কেউ রানী। পুলিশের কাছে যান এসব নিয়ে গুরুত্ব পাওয়া যায় না। যেন দেখার কেউ নেই। হিজড়া সেসব মিলিয়ে একটি আতংকের নাম।
রংপুরের একদিনের ঘঠনা:
রংপুর থেকে যত বাস ছাড়ছে তার প্রতিটি বাসে চাঁদাবাজি করেন হিজড়ারা। পেশার কাজে রংপুর গিয়েছিলাম। যাবার পথে এবং আসার পথে হিজড়ার জ্বালায় অতিষ্ঠ আমি সহ সাধারণ জনগণ।
সাধারণ জনগণ মামুন বলেন, আমার কাছে বেশি টাকা নেই ৫ টাকা রাখেন- তখন হিজড়া তার নিজের ইজ্জত দেখান এবং বলেন, তোকে ৫০ টাকা দিতে হবে, মামুন ভয়ে লজ্জায় ৫০ টাকা দিয়ে দিলেন। বাস ভরা লোকজন কেউ একটা কথা বলেননি।
আমি নিজেই বাসের সুপারভাইজারের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপারভাইজার সাহেব বলেন, আমরা যদি বাসে ওঠতে না দেই আমাদের সামনে কাপড় তুলে নাচে, আমরা কি করবো এদের সাথে আমরা কিছু করতে পাড়িনা।
একজন হিজড়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের আই ডি কার্ড আছে সরকার আমাদের কে অনুমতি দিয়েদিছেন ।
এই ভাবে কত মামুনের কাজ টাকা নিচ্ছে হিজড়ারা। এই ভাবে চললে অল্পকিছুদন পর হয়তো এদের অত্যাচারে বাসে ওঠা যাবেনা বলে অনেকেই মনে করছেন। সাধারণ জনগন এই বিষয়টি প্রশাসনের নজরদারীতে রাখার জন্য বিষেশ ভাবে অনুরোধ করছে ।
আমার মনে হয় এটি নির্মূল করা খুব সহজ কাজ নয়। তবে হিজড়াদের জন্য অবশ্যই কিছু করার আছে সরকারের। তাদের মুল্যায়ন করতে শেখা। তারা মানুষ তাদের মত করে চলতে না দিয়ে সমাজের সাধারন্ মানুষদের সাথেই কর্মসংস্থান করতে দেয়া। পড়াশোনার ব্যাবস্থা করা। যদি কেউ সাধারন সমাজে না থাকতে চায় তবে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। হিজড়াদের জন্য চিকিতসা বিজ্ঞানে কিছু করা যায় কি না সে নিয়ে কাজ করা।
তবেই এই সমাজে হিজড়া আতংক দূর হতে পারে। সমাজের মানুষের সাথে মিলেমিশে গেলে দেশের উন্নতি হতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply