হোলি উৎসবের দিন বাড়ির বাইরে ক্রিকেট খেলায় এক মুসলিম পরিবারকে বেধড়ক পেটানো হয়। ঘরে ঢুকে মাটিতে ফেলে লাঠি এবং রড দিয়ে রক্তাক্ত করা হয় তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে ।
আক্রান্ত ওই পরিবারের অভিযোগ, মুসলিম হওয়াতেই তাদের উপর এই হামলা। এমনকি মারধরের সময় তাদের পাকিস্তানে চলে যেতে বলে দুস্কিৃতিকারীরা। হোলির দিন স্থানীয় ভূপ সিংহ নগরে বাড়ির কাছেই ক্রিকেট খেলছিলেন কয়েক জন যুবক। ওই সময় মত্ত অবস্থায় ৩০ থেকে ৪০ জনের একদল যুবক এসে তাদের কাছে হোলির দিনে খেলার কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে এক পর্যায়ে খেলায় অংশ নেয়াদের পেটাতে থাকে ওই যুবক দল।
পুলিশের কাছে ভুক্তভোগীদের দেয়া জবানবন্দিতে ভুক্তভোগীরা জানান, আতঙ্কে প্রত্যেকেই বাড়ির দিকে ছুটতে থাকেন। লাঠি, রড নিয়ে পিছু ধাওয়া করে দুষ্কৃতিকারীরাও। এরপর তাদের বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকে পড়ে তারা। তাদের প্রত্যেকের হাতেই লাঠি, রড ছিল। মাটিতে ফেলে সেগুলো দিয়েই বেধড়ক মারধর শুরু করে দেয়। পরিবারের বাকি সদস্যরা বাধা দিতে এলে তাদেরও হেনস্থা করা হয়।
ঘর থেকে পুরো ঘটনাটা মোবাইলে ভিডিও করেন এক ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন সাধারণ মানুষ। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক মহিলা হাতজোড় করে দুস্কিৃতিকারীদের চলে যেতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি।
স্থানীয় এসিপি শামসের সিংহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনাট ঘটেছে। আক্রান্তেরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তারা বাড়ির বাইরে ক্রিকেট খেলার সময়ই এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply